১।
শুধুই পাখির মত ওড়াওড়ি। ঈশান কোণে মেঘ জমেছে। বেণী না দোলাও বালিকা।। ঘাসের ডগায় মুক্তোর দুল।অবসন্ন এই দিল। একদল শুয়োপোকা নেমেছে রেশম বুনে দেবে।আকাশ কাঁদবে বলে কালো ধরণী। আমি উচু টেরেকোটা বারান্দায় অবসন্ন এক বৃক্ষ। পাতা ঝরার দিনে ঝরে যাবে সেদিন সব পাতাগুলো এলো হাওয়ায়। আমাকে একা রেখো না বালিকা। আমার ঠোটে লেগে আছে নদীর ঘ্রাণ। শ্রাবণ এলেই জল হবো ---
২।
আর্ফিউস যাতনা নেই - বন্ধ হয়ে আছি একটা খোলের ভেতর -
বাতাস নগরীতে জমাটবদ্ধ অন্ধকার
আলো নাই , অন্ধকার ঘুমোয় -
দাঁত বসে আছে প্রতিটি গাঁথুনিতে
তবু সেতার বাজাই , টুং টাং ধ্বনিতে নিনাদ ছড়ায় আকাশে ,
তুমি কতকাল হাত ধরনি আমার
চলো এই বনে হেঁটে যাই ,
চিটে যাওয়া ধানী সুরায় আমার বুকে
আকাশ লেগে থাকে । ।
৩/
পালটে ফেলো পথ দিঘী নালা আর সীমাবদ্ধ পরিসর
এবার আমি দুর্গগুলোর সীমানা ভেংগে দেবো
এঁকে দেবো লাল দালানের বুকে একটা হৃদয়
অথচ পৃথিবী হৃদয় নিয়ে বেঁচে থাকে
আমি অখন্ড এক হৃদয়
হৃদয় জানেনা সীমানা প্রাচীর !!
৪/
এটা কোন ধর্মশালা নয় - এ হোল আমার হৃদয় -