কবিতাটি প্রিয় কবি জহিরুল ইসলামের । তার স্পেশালি কোনো মেইল এড্রেস নেই বলে তার রেজিস্ট্রেশন করা গেলো  না । কবিতাটি পাঠকদের সামনে  তুলে ধরাই মুল উদ্দেশ্য /


খেজুরের গাছ দেখেছো কখনো?
শৈলী তকতক করা থাকে যার
প্রতিটা তক যেনো পরিমিত কামরা
নতুবা একটি ঘরের অসংখ্য দুয়ার
.
প্রতিটা শীতে তার বুক কেটে নেওয়া-
কাচা মাথি থেকে অনবরত ঝরে কষ
একসময় শুকায় ক্ষত- থেমে আসে জল
অথচ আমরা যার নাম দিয়ে রাখি রস
.
এভাবে অপেক্ষা করে আগামী শীতের
অপেক্ষা করে প্রতিটা বুক ফেরে দেবার
এই নিয়ম জেনে গেছে খেজুরের বংশধর
ওই বুক ছাড়া কিছু নেই আর খোয়াবার
.
খেজুর গাছের বাড় দেখেছো কখনো?
আমার কাছে এই বৃক্ষ ঘোর বিস্ময়
কি করে তবু এতো বাড়ন্ত- এতো বাঁচে
যার সারা শরীর একটা কর্তনের সমন্বয়
.
যেটুকু ডালপালা তার নিজের প্রয়োজন
পথিক না পায় একটু ছায়া- নির্জন বাস
তবে কি নিজের সাথে নিজের প্রতিশোধ?
নাকি মানুষ বোঝেনা এমন বেদনার প্রকাশ!
.
তুমি তো খেজুর গাছ দেখোনি যদ্দূর জানি
শহুরে দেবদারু বাতাসের সাথে যার পরিচয়
এত শব্দ, এত নির্জন- সে বোঝেনা কখনো
মানুষের সাথে বৃক্ষের এত মিল কি করে হয়!
০৫.০৩.১৭