আসিলে    কে গো অতিথি উড়ায়ে নিশান সোনালি।
   ও চরণ    ছুঁই কেমন হাতে মোর মাখা যে কালি॥
   দখিনের    হালকা হাওয়ায় আসলে ভেসে সুদূর বরাতি
  শবে-রাত    আজ উজালা গো আঙিনায় জ্বলল দীপালি॥
  তালিবান    ঝুমকি বাজায়, গায় মোবারক-বাদ৪ কোয়েলা।
    উলসি    উপচে পলো পলাশ অশোক ডালের ওই ডালি॥
প্রাচীন ওই    বটের ঝুরির দোলনাতে হায় দুলিছে শিশু।
ভাঙা ওই    দেউল-চূড়ে উঠল বুঝি নৌ-চাঁদের ফালি॥
  এল কি    অলখ-আকাশ বেয়ে তরুণ হারুণ-আল-রশীদ।
  এল কি    আল-বেরুনি হাফিজ খৈয়াম কায়েস গাজ্জালি৫॥
  সানাইয়াঁ    ভয়রোঁ বাজায়, নিদ-মহলায় জাগল শাহজাদি।
  কারুণের    রুপার পুরে নূপুর-পায়ে আসল রূপ-ওয়ালি।
  খুশির এ‍    বুলবুলিস্তানে মিলেছে ফরহাদ ও শিরীঁ।
   লাল এ    লায়লি লোকে মজনুঁ হরদম চালায় পেয়ালি॥
বাসি ফুল    কুড়িয়ে মালা না-ই গাঁথিলি, রে ফুল-মালি!
   নবীনের    আসার পথে উজাড় করে দে ফুল ডালি॥


পদ্মা
২৭.২.২৭
(জিঞ্জির কাব্যগ্রন্থ)