এ কোন্‌    পাগল পথিক ছুটে এল বন্দিনী মা-র আঙিনায়।  
          ত্রিশ কোটি ভাই মরণ-হরণ গান গেয়ে তাঁর সঙ্গে যায়॥
                    অধীন দেশের বাঁধন-বেদন
                    কে এল রে করতে ছেদন?
          শিকল-দেবীর বেদির বুকে মুক্তি-শঙ্খ কে বাজায়॥  
          মরা মায়ের লাশ কাঁধে ওই অভিমানী ভায়ে ভায়ে  
          বুক-ভরা আজ কাঁদন কেঁদে আনল মরণ-পারের মায়ে।
                    পণ করেছে এবার সবাই,
                    পর-দ্বারে আর যাব না ভাই!
          মুক্তি সে তো নিজের প্রাণে, নাই ভিখারির প্রার্থনায়॥
          শাশ্বত যে সত্য তারই ভুবন ভরে বাজল ভেরি,  
          অসত্য আজ নিজের বিষেই মরল ও তার নাইকো দেরি।
                    হিংসুকে নয়, মানুষ হয়ে
                    আয় রে, সময় যায় যে বয়ে!
          মরার মতন মরতে, ওরে মরণভীতু! ক-জন পায়!  
          ইসরাফিলের শিঙা বাজে আজকে ঈশান-বিষাণ সাথে,  
          প্রলয়-রাগে নয় রে এবার ভৈরবীতে দেশ জাগাতে।
                    পথের বাধা স্নেহের মায়ায়
                    পায় দলে আয় পায় দলে আয়!
                    রোদন কীসের ? – আজ যে বোধন!
                    বাজিয়ে বিষাণ উড়িয়ে নিশান আয় রে আয়॥


  (বিষের বাঁশি কাব্যগ্রন্থ)