ওই    তেত্রিশ কোটি দেবতাকে তোর তেত্রিশ কোটি ভূতে
আজ    নাচ বুড্‌ঢি নাচায় বাবা উঠতে বসতে শুতে!
ও ভূত         যেই দেখেছে মন্দির তোর
              নাই দেবতা নাচছে ইতর,
  আর    মন্ত্র শুধু দন্ত-বিকাশ, অমনি ভূতের পুতে,
  তোর    ভগবানকে ভূত বানালে ঘানি-চক্রে জুতে॥



ও ভূত          যেই জেনেছে তোদের ওঝা
               আজ নকলের বইছে বোঝা,
  ওরে     অমনি সোজা তোদের কাঁধে খুঁটো তাদের পুঁতে,
আজ ভূত-ভাগানোর মজা দেখায় বোম-ভোলা বম্বুতে!



ও ভূত         সর্ষে-পড়া অনেক ধুনো
              দেখে শুনে হল ঝুনো,
  তাই     তুলো-ধুনো করছে ততই যতই মরিস কুঁথে,
ও ভূত     নাচছে রে তোর নাকের ডগায় পারিসনে তুই ছুঁতে!



          আগে   বোঝেনিকো তোদের ওঝা
          তোরা   গোঁজামিলের মন্ত্র-ভজা।
               (শিখলি শুধু চক্ষু-বোঁজা)
          শিখলি শুধু কানার বোঝা কুঁজোর ঘাড়ে থুতে,
   তাই    আপনাকে তুই হেলা করে ডাকিস স্বর্গদূতে॥



  ওরে        জীবন-হারা, ভূতে-খাওয়া!
             ভূতের হাতে মুক্তি পাওয়া
          সে কি সোজা? – ভূত কি ভাগে ফুসমন্তর ফুঁতে?
  তোরা    ফাঁকির ‘কিন্তু’ এড়িয়ে – পড়বি কূলহারা ‘কিন্তু’তে!



  ওরে           ভূত তো ভূত – ওই মারের চোটে
                 ভূতের বাবাও উধাও ছোটে!
           ভূতের বাপ ওই ভয়টাকে মার, ভূত যাবে তোর ছুটে।
  তখন     ভূতে-পাওয়া এই দেশই ফের ভরবে দেবতা দূতে॥


(বিষের বাঁশি কাব্যগ্রন্থ)