সোনায় মোড়ানো দেশ, রুপোলী জলের নদ
গোলায় ধান ভরা, পাতে পঞ্চাশ পদ
পাখি গান গায়, হাস্যমুখে বালিকা
রচনা করে নকশীকাঁথা, ধাধার জালিকা।
মেঠো পথ ধরে মাঝি হাটে পথে
জীবন সুখে, দিন যায় রথে
এক জীবনে এই স্বর্গ দেখবো কত আংলায়
মরণেতে যেনো পাই তবু ঠাই এই বাংলায়।
ঝিঝির গান, জোনাকের সমাহার
খুশির ভেলায় চলে গ্রাম্য স্বর্ণকার
মহাজন পান দিয়ে মুখে পুরে
খবর পুঁছায় শ্রমিকেরে আপন ভাতৃ সূরে।
ঘরে ঘরে সকাল গৃহিণীর সব ব্যস্ত দিনের শুরু
প্রশান্তি লয়ে কাজ করে বধু মাতৃত্ব থাকে পুরু
কৃষাণ যখন ফিরবে ঘরে, হাতে নিয়ে ঘটি জল
ধুয়ে মুছে তুলে নেবে ঘরে তার সোনার চরণ তল।
হরেক পার্বণে শিশু আবদারে মুখ,আসে গেরস্থ কাছে
এখনই চল বাবাই, সন্ধ্যে বেলায় ব্যন্ডো বাজনা আছে
অশীতিপরাণ বৃদ্ধ যখন বসে লয়ে তার পূথী
আমরা তখন সেই গল্পে আমাদেরই ভেবে গাথি।
সব সুন্দর, শ্রেষ্ঠ সুখ নেমে এসে এই মাটিতে
করেছে তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ, সকল ভাটিতে
জন্মে এস্বর্গে,দেখে এ সুন্দরের লীলা
মূল্যহীন সব ধাতু হতে আমারই সোনার বাংলা