হিমঘরে পড়ে থাকি
তুষারের চাদর গায়ে
তুষারজীবি হয়ে
মৃত দরজা হাট করে খোলা
মেরু ভল্লুকেরা উঁকি দিয়ে যায় এসে
দিনের আলোয় সংসার পেতে থাকে
খসে পড়া কয়েদী নক্ষত্রেরা।
এপারের ঘুণে খাওয়া নির্জনতা
লুটিয়ে পড়ে পায়ের কাছে
আরো,কিছু বিলাসী তারা
জমে থাকে অশ্রু নিদারুণ বরফ মতন
আমি ক্ষমা করে দেই,সেইসব-
নির্জন নেকড়েশাবকদের
ক্ষমা করে দেই ,অনাগত সব নির্জনতাকে
পাংশু মেঘেরা,এসে দেখে যায়
হাত ছুঁয়ে দিয়ে যায় চুমু
আমি,ক্ষমা করে দেই তাদেরও
যারা গাংচিলের দলে উড়ে গেছে
যারা,এই হিমঘরে দিয়ে গেছে
অবাক পৃথিবীর নীরবতা
বরফের সাথে সখ্যতা শুরু
যেদিন তারা রক্তে মিশিয়ে দিল
হিমের নিসঙ্গতা
স্মৃতি বলতেই  তাই বুঝি
তাড়া করা হিমবাহ
মেঘ বলতেই,বুঝি
শাদা পালক
সমুদ্র বললে বুঝি
শীতল আলোর স্রোত
ভালবাসা বললে,তাই বুঝি
বরফ পাতা বিছানা
তুমি,বললেই বুঝি
মৃত্যুর ফিসফিসানি
আমি বলতেই,বুঝি
আহত শাদা কাক,হিমঘরে একাকী।