রাতের শব্দ ভেঙে ট্রেন থামে
ঝিঁঝিঁ পোকার দেশে ,
নিশুন্ন আঁধার রাতারাতি
ওঁত-পেতে বসে।


রোগা ন্যাংটো প্লাটফর্মে ঝিমোয়-
দুটো পাঁচটে কঙ্কালের খুলি,গুড়গুড়ে হাড়গোড়
আধ খাওয়া বুড়িয়ে যাওয়া সিগারেট ।
আলো আসে একটু দূরে গুপচি থেকে,
আধো আলো ভ্যাপসা মতন লাগে
আধারে আশ্রয় খোঁজে্‌
কষ্টেসৃষ্টে ট্রেন জায়গা করে নেয়।
পাঁচজন চাতকও এসে ইতিউতি খোঁজতে থাকে
দেখতে দেখতে আঁধারেই গলিয়ে গেল দলটি
শুধু আঁধারে লেপটে দিয়ে গেল
তাদের রোদ-বসন্তের জলছায়া
মায়া ছেড়ে তারা হয়ে উঠেছে ,আরও মায়াবী
ফেনিল জলের সফেদ শুভ্র কাক
ভালোবাসা বছর দুয়েক ধরে ,বাস কলোনীর
সিউরেজ পাইপগুলোর, গন্তব্যে গিয়ে মিশছে
ভালোবাসার খরার দেশ ছেড়ে,আমিও তাই তাদের পিছু নিই
ঝুকে পড়ি,আধারের মেঝেতে
আজীবনের তরে,লেপটে দিয়ে এত বসন্তের
চিরসবুজ শেষ ইচ্ছেগুলোকে
তল থেকে তলিয়ে যেতে থাকি-
শরীরজুড়ে-রক্তস্রোতে আধার সাজতে বসে।


রাতের ট্রেনের গুঞ্জন,ককিয়ে উঠে আহতস্বরে,
স্টেশনের একমাত্র,যাত্রী হয়ে উঠে পড়ি।
পৃথিবীর জলহাওয়ায়,ভালোবাসার জীবাণুরা
ঝিঁঝিঁ পোকার সাজ নিয়েছে
এর চেয়ে ভালো,ঢের ভালো
ঘন,কালো,তেলতেলে কুচকুচে
শকুন মরা আধার।
আধার কেটে,আধারে ভাঙে
রাতের ট্রেনের চাকা
বিশুষ্ক চোখগুলো,শুয়ে পড়ে নক্ষত্রের তলে
একেকটি চোখ,আজ শতাব্দীর তারা
মৃত সাগরের বুক বেয়ে
পৃথিবীর শেষ শুদ্ধ ভালবাসা ।