ভেজা ফুটপাতে নিয়নের রোদ গলে
নরম  হাতের আদর ফুড়ে ভেসে উঠে
অপরিপক্ক  সে ছায়া।।


জীবনের বসন্ত আসতে তার এখনও ঢের বাকী
তবু আমি তার সাথেই হাটছি
দিন অনেক দিন।।


প্রথম দেখেছি তাকে -
রোদ-ঘামে মাখামাখি জবুথবু হয়ে বসে থাকা,
এই শহরের একটুকরো মিনিঅ্যাচারে।
ঘুমের ভেতরে তল হারিয়ে
অন্য এক ঘুমে।।


এই শহরের ভেতরে আরেক জাদুর শহরে-
আমি হেঁটে হেঁটে গলিয়ে যাই তার শরীরে
সে দেখা দেয় দিন প্রতিদিন।।


ময়লা মলিন টি-স্টল,খুচরো আড্ডা,অনাদরের ভাংতি পয়সা
টিউব-ফ্যান- নিঃশ্বাস-নিকোটিনে দুমড়া ড্রয়িংরুম
দেয়ালে ঝুলে থাকা শেষ বিকেলের সেলফ পোর্ট্রেট
এসবের মাঝে আদ্যোপান্ত জীবন্ত সে
নিজের মতই খেয়ালে-বেখায়ালে।।


নরম বালিশে রোদ গুজে-
সে পড়ে থাকে জীবনের সমস্ত সুখনিদ্রার পরে
নীল রাত্রি ,কমলা মেঘের সুনসান শহরে ,
অজস্রবার দেখে ফেলা ঠুকাঠুকির এই জীবনের বায়স্কোপে।।


এখন সেই ভেজা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে যাই
বিবর্ণ সে ছায়া হয়ে উঠে,স্রষ্টা সৃষ্টি
মিলেমিশে পরম ধ্রুবকের মত
প্রতিবার সে জন্মায় আরো শুদ্ধ নতুন করে
এখানেই সে প্রতিদিন আসে
সে আসে ধীরে।।