২১ শে ফেব্রুয়ারী
===============
একুশে ফেব্রুয়ারির ফি-আগমন
অদৃশ্য ভালোবাসার নাড়ির টান,
জাগায় উদ্দীপনা, দৃপ্ত করে মন
অমর ভাষা-শহীদদের স্মরণ।।


বাঙলা ভাষীর সংখ্যা হয়তো নগন্য,
ভাষা-শহীদের ঘটনা জগতে অনন্য।
সুমিষ্ট বাঙলা ভাষা শ্রবণে উন্মুখ
কর্ণে মোদের শিহরন,মননের সুখ।।


মাএর ভাষাতো মাতৃদুগ্ধ প্রায়,
বাঙালি আজ কেন বিস্মৃত তায়
হারিয়ে শিকড় ছুটিতেছে সে ভাই
বিশ্বজনীনতার খোয়াবে হায় হায়!


ভুলিয়াছি মোরা মধুকবির আফসোস
বাঙলাভাষা 'রত্নরাজির'বিস্তৃত  কোশ,
ফিরিয়ে মুখ, জাগালো বাঙালির বোধ,
বাঙলা ভাষায় রচিত 'মেঘনাদ বধ'।


বাঙলা, বাঙালি মাতৃজঠরের টানে,
প্রকাশিত হয় কর্মে, ছন্দে ও গানে,
ভাটিয়ালি, জারি- সারি,ভাদু,টুসু সনে
বাঙালির জীবনযোগ,অবহেলা কেমনে?


বাঙলার কিষাণ কাটিতে থাকে ধান,
শোনা যায় ছাদপিটুনির ছন্দে তান।
রবিবাবুর ছন্দ নাচন,'তিন কন্যে দান',
কিম্বা  সত্যেন দত্তের 'পালকির গান।।


এ ভাষার উচ্চারণে বাঙালির কান,
অনুরণিত পল্লীকবির পেলব 'নিমন্ত্রণ',।
তব কলমে উচ্চকিত,সামসুর রহমান
"রবিঠাকুরের অজর কবিতা,অবিনাশী সব গান"।


আজ বাঙলা ভাষার দুর্দিন চরমে,
পড়শী ভাষার প্রবল পরাক্রমে,
দিন দিন ক্ষিয়মাণ,ক্ষয় থেকে ক্ষীন
'আ মরি'বাঙলা ভাষা, হচ্ছে শ্রীহীন।


অনুচিকীর্ষু বাঙালির পরমুখাপেক্ষীতা
ভাষা হারিয়েছে  লালিত্য পেলবতা,
ভাষা তো নদী,গড়বে ও ভাঙ্গবে,
তা বলে কেন ভালোবাসা টুটবে?


বাঙালির মননের প্রতি কোশেকোশে
একদা রোমাঞ্চে রাখিত রসেবশে
বাঙলা ভাষার উচ্চারণে প্রতি নিশ্বাসে। এ কেমন বাঙালি নিজ কীর্তি নাশে!


শ্রী নীরদবরণ সিনহা।
২১শে ফেব্রুয়ারী, ২০২২
==================[