উমফুন বা আমফান যে নামে তোমাকে
ডাকা,
ভৈরবরূপে অট্টহেসে গড়ালে ধংসের চাকা।
বিভীষন তোমার রুদ্রঝংকার কানপেতে
শোনা দায়,
অসহায় মানুষ ফ্যালফ্যালিয়েআকাশের
পানে চায়।
শোনোনিকি তুমি গৃহহারা যত মানুষের
কলরোল?
এখনো কি তুমি রইবে বধির থাকিয়া ভীষণ অটল?
তোমার রুদ্রহস্ত নেমেছে ধরায়,করিতে
সৃষ্টি তছনছ,
খেটেখাওয়া মানুষের বাঁচিতে কী আছে
রক্ষাকবচ?


কয়দিন ধরে বহুচর্চিত ছিল তবআগমন
বার্তা,
দিনক্ষণ মেপে যত বিজ্ঞানী কূল দিছিল
সতর্কতা।
শঙ্কা হৃদয়ে দুরুদুরু বুকে ছিল সবাই
অপেক্ষমাণ,
সাহসের সাথে সাধ্য মতো হয়ে ছিল
সাবধান।
মনে ছিল আশা ঝড়ের জিঘাংসা কোন
মতে যাবে এড়ে,
কিন্তু কবে হায় প্রার্থনায় দেবতারআসন
নড়ে?


শঙ্খ নিনাদে কর্ণকুহরে শুনি তব বজ্র
নির্ঘোষ,
পলে পলে বাড়িতে লাগিল প্রভঞ্জনের
উচ্ছ্বাস।
ঘন্টা ছয় ধরি চালালে মরি মরি! তব
তান্ডব লীলা,
হিসাব নাই তার কত ক্ষতি কার হইল
প্রতি জিলা।
চারিদিকে শুধু ধংসের ছবি মানুষের
আর্তনাদ,
কত শত জন হারিয়ে ফেলে মাথার উপরে ছাদ।


কবে যে হায় ফিরে পাবে ভাই সে তার
জীবন ছন্দ?
গেছে যার ভাই সেই বোঝে ছাই ভাগ্য
কত যে মন্দ।
দেখে শুনে সব রইবে না নীরব ভাঙা
পাঁজর যদিও,  
জীবন যুদ্ধে জড়িয়ে নেবে শত ক্ষত
বিক্ষত হয়েও।
এভাবেই চলে জীবনের গাড়ি ক্ষণে ক্ষণে থমকাই,
চলার পথের বাধা বন্ধন সে অবহেলে
উৎরাই।।
===================