চারিদিকে অশান্ত সময় প্রবাহ
মানুষেরে ক্লান্ত করি বহে অহরহ।
তারা অসহায়,উদভ্রান্ত নাবিক প্রায়
কে দেখাবে তারে আজ প্রকৃত উপায়?
আজি তন্দ্রাচ্ছন্ন সে গভীর ঘুমের দিকে
একেক পা এগোয়,সবকিছু যেন ফিকে।
উৎসবের আবহে সবাই মজেছে
জীবনের অর্থ,'মস্তির' খোয়াবে মিছে।


চারিদিকে হানাহানি আর রক্তপাত,
পাশবিক উল্লাসে সারা সারা রাত,
নারী সঙ্গ লোলুপতায় হায়েনার দল
ছিন্নভিন্ন করে দেয় কুসুম কোমল -
একদা যে ছিল কারো স্বপনচারিনী,
নিশ্চিত কারো মাতা বা ভগিনী,
তার কাছে সে শুধুই কামনার বন্হি,
হুতাশনে জ্বালিয়ে করে তারে নিশ্চিহ্নি।


মানুষের প্রতি হত, মানুষের বিশ্বাস,
একের বিপদে,অপরের আশ্বাস।
টেরা চোখের টেরা যে চাহনি
নড়বড়ে করে বিশ্বাস ভিত খানি।
হৃদয় নিংড়ানো যে ভালোবাসা
উধাও সব,আজি জাগায় নিরাশা।


যান্ত্রিক সভ্যতার যান্ত্রিক ফসল
মানবিক মর্যাদা করেছে বিকল।
আজ বড়ো অন্ধকার তমসায়
আচ্ছন্ন মানবের ভবিষ্যত হায়!
জ্ঞানাঞ্জনা শলাকার দিব্য আলোকে
কবে আর জাগরণ উঠিবে ঝলকে?


স্বার্থপর,অর্থলোভী,কামনার দাস,
সবাই জীবনকে চায় করিতে খাস।
অর্থ ও কৃত্রিম এই যশের লালসা
মেটাবে কি অন্তরের প্রকৃত পিয়াসা?
অমৃতর পুত্র তুমি,পেয়েছ মানব-জমি
অবহেলায় হারাতেছ দুর্লভ সুযোগ তুমি


ধর্ম, অর্থ ও কামনার আতিশয্যে,
মদ,মোহ আর অতি মাৎসর্যে,
পৃথিবীর বুকে নামিবে যে প্রলয়
মানবসভ্যতার অবশ্যম্ভাবী ক্ষয়।
মানসলোচনে এ-ই দৃষ্ট হয়-
মানুষেরই হাতে হবে মানবতার লয়।
==================[