বছরেতে ঐ একটিবার মা দূগ্গা আসে
এসময়ে বাঙালি সব,উৎসবেতে ভাসে।
বড়ো ছোট প্যান্ডেলে আলোর রোশনাই
ঠিকরে পরে আলো ঝরে প্রতি প্রতিমাই।
মাইকেতে রঙিন গান উছলে উঠে প্রাণ
দেদার খর্চা দু'হাতে,রাখতে ক্লাবের মান


থিমের ভারে যাচ্ছে ভেসে চিন্ময়ীর রূপ
ডাকছি কোন মাকে? মোদের এই ভূপ।
নতুন বস্ত্র নতুন জুতো পড়াই তো চাই
নইলে পরে মা'র সাথে মিলি কেমনাই?
চাই সবাই যারপরনাই দিতে একঝলক
কেউ ভাবে গরীবগুর্বোর কথা একপলক


যেতে এতে পাশে পথে অনেক অনাথ বালক,/
বেচছে কেউ বেলুন বাঁশি কেউ ময়ূর
পালক।/
ওদের দেহে ঘরে গেহে নেই সজ্জা
সাজ,/
পূজো মানেই শৈশব হারা ঢের বিস্তর
কাজ।/
ওদের 'পরে দৃষ্টি দিতে নেই কারুরই
তাড়া,/
কেমন করে হবে আপন নেই-রাজ্য
বাসিন্দারা?


হয়তো কোথা হয় আয়োজন বস্ত্রদানের
খেলা,/
উঠছে ছবি, ঘন-ঘোষনায়,মারছে তারা
রেলা।/
কী হবে ভাই এসব করে একটি দিনের
তরে?
হয়তো বুকের বাড়বে ছাতি আদিখ্যেতা
করে।/


মৃন্ময়ী মাকে'করো আবাহন ভুলে প্রতি-
"মা"কে।
চিন্ময়ী'তারা' পাইবি সাড়া দেখ একবার
ডেকে/
প্রতি মণ্ডপে সাজাতে হবেনা মুর্তি সারি
সারি/
ঘরে ঘরে 'দুর্গা' বিরাজে করো তাদের
নমস্কারি।/