ঈশান কোণে মেঘ জমেছে কালো কাজল ভরা/
কী যেন হবে তাই ভেবে মন যে
আকুল পারা/
সারি সারি গাছগুলো আজ অবাক
নিস্পন্দ /
পাখ পাখালি গাছ কোটরে নিশ্চুপ
নিরানন্দ /


রাখাল বালক গোপাল নিয়ে চলে
ঘরের পানে/
কালবৈশাখী আসছে ছুটে মনে
তারা জানে/
আকাশ পটে দৃশ্য হয় এলোমেলো
হাওয়া /
গগনতলে হয় যে শুরু মেঘের ছেয়ে
যাওয়া /


কৃষ্ণবর্ণ ক্রমেই উধাও পেয়ে পবন
ছোঁওয়া /
পিঙ্গল থেকে রঙের খেলায় ধূসর ধুলো
ছাওয়া /
হঠাৎ করে আকাশ চিরে বিদ্যুৎ রেখা
ঝলসায়/
দূরে কোথাও নাদ গম্ভীর নির্ঘোষ যে
গর্জায়/


সারা বাতাস জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গন্ধ
বারুদের /
প্রহর গুনিছে চরাচর এক বিভোর
বিস্ফোরণের /
চাইতে দেখিতে আসিয়া পড়ে কাল-
বৈশাখী উত্তাল /
ডালপালা সব লড়াই লড়ে আজি
উথাল পাথাল /


দুয়ার জানালা উঠে ঝনঝনি হৃদয়
কপাটে ঘা/
ইচ্ছে হলেও দরজা খুলিয়া ফেলিতে
নারি পা/
থেকে থেকে উঠে বাদল মাঝে বিজলির
চমকানি /
কোথা কড়াৎ করিয়া পড়িল বাজ হৃদয়
কম্পমানি/


ঝড়ের দাপটে ধুলাময় ধরা না চলে
কারো দৃষ্টি /
উড়ে যায় ভেসে যায় যত জীর্ণ পুরনো
রিষ্টি /
ঝড়ের সাথে বড়ো ফোঁটায় হয় শুরু
বারিবর্ষণ /
সোঁদা গন্ধ আশ্বাস দানে তৃপ্ত হইবে
জীবন /


ধরিত্রী হয় স্নিগ্ধ শীতল অঝোর বারি-
ধারায় /
প্রকৃতির বুকে প্রকৃতি কৃত মলিন পুরনো
সাফাই /
ফিরে পায় প্রাণ সজীব সিনানে শুষ্ক রুক্ষ ধরা /
নীলাকাশ আরো সুনীল সতেজ পাইয়া
মেঘের ছাড়া /


তবু অশান্ত মনে উঁকি দেয় কিছু প্রলয়
জিজ্ঞাসা/
ঝঞ্ঝা তাড়িত প্রকৃতি রোষে কেন ভাঙে
শত বাসা /
ওরা তো করেনি কোন অন্যায় প্রকৃতি
বিরোধী কাজ/
সহিতে হইবে অবলা জীবকে এই কঠিন
শাস্তি আজ/


প্রকৃতি তুমি তো আশ্রয় দাতা সর্ব জীবের ত্রাতা /
তোমারই নিয়মে হও বা কীভাবে ধংস
যজ্ঞ হোতা/
হয়তো হেথায় লুকিয়ে রয়েছে তোমার
আশীর্বাদ /
ক্ষুদ্র আমি বুঝিতে নারি তোমার অমোঘ
নিয়তি-বাদ।।
===================