শ্রী বিগ্রহ মাঝে মোরা তোমায় ধরিতে
চাই,
নিজের মতো করে তবুও তোমারে নাহি
পাই।
বুঝি আমি,মোর চারিপাশে রয়েছ তুমি
সদাই,
তবু হই যে বিফল মনের বাঞ্ছা করিতে
আদায়।


মন্দির গড়ি তোমায় বসাই,শ্বেত শুভ্র
সিংহাসনে,
ফুল ফল দিয়া, মালায় সাজাই যতেক
যতনে,
পূজিতে চাই নিয়ম নিষ্ঠা করি তোমার
শ্রীচরণে,
হরিতে চাই অন্তর্জ্বালা, শ্রীহরি স্মরণে,
সমর্পণে।


যত করি আশ,হই যে নিরাশ পাইতে
আশীর্বাদ,
করি আয়োজন, মন্ত্র সাধন,মিলিতে তব
প্রসাদ।
যাগযজ্ঞ যত,আহুতি কত শত দূরীতে
বিপদআপদ,
ফল নাহি পাই, আপদ বালাই,মনে জাগে অবসাদ।


হেন কালে আমি পাইলাম স্বামী তোমার
উদয় বার্তা,
মানবের মাঝে জন্ম নিয়েছে বর্তমানের
ত্রাতা।
সহজ সরল সাজে,সংসারীর কাজেহলে মন্ত্রণাদাতা
গীতার বাণী,নিচোড়িয়া আনি,বিলালে
কত কবিতা।


প্রেমের মূর্ত প্রতীক হ'য়ে করিলে যে
প্রেমদান,
চরণ-পূজা হটিয়ে দিয়ে, দিলে চলন -পূজাকে স্থান।
অলস জাতিকে বাঁধিতে চাইলে জাগিয়ে
সময় জ্ঞান,
সকাল সাঁঝে প্রার্থনা গীতে নিজেরে
সম্প্রদান।


আর্য কৃষ্টিতে সৃষ্টি ধারাকে চালায়ে যেতে চান,
'ইষ্টভৃতি 'স্বস্তয়িনী'র বিধান করিলে
দান।
'কৃপা নাহি চাহি','করে পাও তুমি' নতুন
তোমার নিদান,
'ধর্ম যা ধারণ করে','সম্প্রদায় ধর্ম নারে'
দিলেন তিনি বিধান।


আজিকার সংখ্যাতত্ত্বে,সৎসঙ্গীর জোয়ার
প্রবল,
দিকে দিকে তোলে মাথা মন্দির দেউল,
শ্বেত-শুভ্র সিংহাসনে,স্থাপিয়া বিগ্রহ সকল,
পূজিতে চাই তোমায়,হইতে সকল কর্মে সফল।


তুমি কি চেয়েছো এটা?এমনতরো ধর্মে?
যা কি না আটকে রাখে,তোমায় বিগ্রহ -বর্মে।
তুমি তো চেয়েছো সিংহাসন, মোদের
হৃদয়-মর্মে,
বিচ্যুত মোরা,তোমার স্বপ্ন সার্থক করিতে কর্মে।।
====================