সারান্ডা,তুমি সাতশো পাহাড় কোলে নিয়ে
আজিও দাঁড়িয়ে আছো নিষ্পাপ শিশুর মতো,
ফেলে আসা স্মৃতি ফিরে আসে ঝাপসা
হয়ে
বিগত দিনের বিবসিত ঘটনা কত    শত।


সারান্ডা তুমি সাধারণের কাছে মূক,না কয়ে
প্রকাশ কর, তব অবগুণ্ঠিত রূপরাশি যত,
যারা নিজ হৃদয় খুলিয়া তোমাতে সমর্পিয়ে।
সবুজ পাহাড় ঢাকা জঙ্গল জলপ্রপাত
কত।


আদিগন্ত প্রসার বন্ধুর, তোমার  শৈল-
শিরা,
জারুল আমলা আর শাল পিয়ালের
দল,
তব পাষাণ বুকেতে প্রতিদিন করে
ক্রীড়া,
কারো,কয়নার লালমাটি ধোওয়া
জল।


রক্তিম নদী ধারা-ধ্বনি অনর্গল কল-
কল,
বলে যাও জীবনের যত কথা মনে
আসে,
সুদূর অতীত কলিঙ্গের রক্ত স্নাত ফলা-
ফল,
হাড় হিম করা তোমার উপত্যকায়
বসে।


প্রকৃতির নিবিড় নিগূঢ় রহস্য বুকে
ধরে,
হে জঙ্গল, বুনো গন্ধ হৃদয়ে তোমার
মেখে,
নিরালা নিভৃতে কুজ্ঝটিকায় নিজেকে
আড়াল করে,
আবরিত রাখো নিজেরে নিজেকে
ঢেকে।


সারান্ডা তুমি প্রলেপ লাগাও হৃদয়ের
ক্যানভাসে,
তোমার স্মরণে শান্ত একদা অশান্ত
মন,
শিহরিত দেহ তোমার শাখাপ্রশাখার পরশে,
আলিঙ্গিতে চায় করিতে মোদের
আপন।


নিশীথ নিঝুম রাত্রিবেলা তোমার অন্যরূপ,
কুহকিনী প্রায় তোমার অযুত ডাল-
পালা,
সিক্ত শিশির বীথি যেন অজগর    নিশ্চুপ,
প্রসারিত হাতে ধরিতে মোদের গলা।


সকালে এখানে পাখিদের কলতান,
জাগিয়া উঠে তারি মূর্ছনায় প্রাণ,
দূরে দেখা যায় প্রশান্ত কিরিবুরু,
মেঘকণ্যা যে নীলাভ মেঘতাবুরু।।
=================