শরৎ আসে, নীলাকাশে ছেঁড়া মেঘের ভেলা,
শরৎ করে মনাকাশে মন নিয়ে যে
খেলা।
শরৎ মানেই মনভালো এক মিলন
পরিবেশ,
মনের মধ্যে চলতে থাকে আনন্দেরই
রেশ।
বৃষ্টি শেষের শরৎ এ ভরা নদী খাল
বিল,
শরৎ মানেই পদ্ম পত্রে খোলা আকাশ
নীল।
শরৎ মানেই পদ্ম শালুক দুব্বো ঘাসের
মেলা,
মন চুরি করে ফিরতে চায় শিশু কালের
বেলা।


শরৎ মানেই ভোর বেলা কার শিউলি
ঝরে পড়া,
বালিকা শিশুর উদোম দৌড় ফুল কুড়া-
বার তাড়া।
শরৎ মানেই সুরযি মামার মিঠে কড়া
আলো,
পুজোর গন্ধ পুজোর আমেজ মন করে
সব ভালো।
ছুটির ঘন্টা বাজবে কখন মিলবে লম্বা
ছুটি,
সময় যেন মনের সাথে ফেলতে নারে
পাটি।
শরৎ মানে আকাশ গাঙে শ্বেত বলাকার
ডানা,
মানসপটে বিছিয়ে নেওয়া যত বিচিত্র
কল্পনা।


শরৎ কালেই পুষ্পে পত্রে নির্মল শিশির
বিন্দু,
ধরতে চায় তার ক্ষুদ্র বক্ষে বিশাল সপ্ত
সিন্ধু।
শরৎ মানে বীরেন বাবুর উদাত্ত চন্ডী-
পাঠ,
আগমনী মহিষমর্দিনী গড়ে পুজোর
ঠাট।
শরৎ মানেই মন্দ্র স্বরে উঠছে ঢাকের
বোল,
সঙ্গে কাঁসি বাজছে বাঁশি মন করে উৎ-
রোল।
শরৎ মানে শপিং মলে কেনাকাটায়
ছাড়,
সবাই ব্যস্ত কিনতে বস্ত্র নিজের অথবা
তার।


নবীন বস্ত্রে ষষ্ঠীর বোধন দেবী পরাৎপর,
উমার আবাহনে মানব মন হয়েছে তৎপর।
মানব জীবন,বিশ্ব প্রকৃতিতে একই সুরে
খেলা,
আবাহনের মাঝেই বাজে বিসর্জনের
ভেলা।।
====================