তোমায় নিয়ে লিখতে বসেছি আজ শত বর্ষ পড়ে গভীর মনে
স্বাধীন দেশে স্বাধীন মনে স্বাধীন পতাকা তুলে শব্দের খেলা ঘরে
এসে ছিলে এই পৃথিবীতে অনেক দিন আগে বাংলার আকাশে ।
জন্মে হয়েছিল বাংলার মাটিতে টুঙ্গীপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে
আলোকিত করে এই ভুবন কে জাগিয়ে ছিলেন বাঙালি জাতি কে ।


তুমি আসবে বলে বাগানের মালীরা ফুলের মালা গেঁথে দাঁড়িয়ে ছিলে
বহু বছর ধরে ,আকাশের মেঘ গুলি জমা হয়েছিল অধীর ক্ষণে ।
ঘাটের মাঝিরা তোমায় নিয়ে ধরে হরেক রকমের ভাটিয়ালী গান
দূর দুরান্ত থেকে ভেসে আসে পল্লী মায়ের গান খুশিতে নাচোয়ারা ।


ঐ দূরে বট মূলের নীড়ে বাউল গাঁয় মনের সুখে তার ই সনে
পদ্মা মেঘনা যমুনা খেলা করে আপন ঘরে স্রোতস্বিনীর সাথে ।
পাখিরা ডানা মেলে উড়ে মুক্ত নীল আকাশে নদীর উপাড়ে
সকাল বেলা সূর্য্যি মামা উঠে পূর্ব দিকে উষ্ণ প্রভাতে ।


প্রভাত ফেরি যায় দেশ হতে দেশ দেশান্তরে মেঘলা দিনে
ভোর বিহনে কলস নিয়ে পুকুর পাড়ে যায় মায়ের ছোট মেয়ে ।
লাঙ্গল কাঁধে দাদু যায় মাঠে গরুর ছানা নিয়ে জমির নীড়ে
রাখাল ছেলে বাঁশি বাজায় উদাস মনে রোজ বিকেলে নদীর দ্বারে ।


মুয়াজ্জীন আযান দেয় সন্ধ্যা লগ্নে মন মাতানো সুরে গভীর ভাবে
কোরআন পড়ে ইমাম সাহেব আবেগ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে চোখের জল কোন খানে ।
গভীর রাতে বাঘের গর্জনের আওয়াজ আসে দূর বন হতে
ঐ শব্দ শুনে পালিয়ে যায় অন্ধকারে হায়েনার দল রাত্রির নিশিতে ।


জ্যোৎস্না রাতে ফুল ফুটেছে বাঁশ ঝাড়ে ভেসে উঠা শিউলির মাঝে
তাই দেখে ঘুমিয়ে যায় বাবুই টিয়ার দল আপন ঘরে জানালার পাশে ।
কবি সাহিত্যিক শব্দ নিয়ে খেলা করে বানায় কত কবিতা ও গান
তার ই সুখে রচনা করে মুক্ত মনের দল গেঁয়ে উঠে রঙ্গিলা নায়ের তান ।


মৌমাছিরা দলে দলে সুখের তানে নাচে হেলে দুলে বলে উঠে
আসছে আমাদের জাতির পিতা শ্রেষ্ঠ বাঙালির ঘরে শ্রেষ্ঠ মায়ের কোলে।