উঠোনে র দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি, সেই কখন থকে ,তুমি আসবে বলে।
সেই ভোর থেকে ,আজ তোমার পথের দিকে, তাকিয়ে আছি ।
আপন ভুজে সাজিয়েছি, তোমার সেই,পুরোনো ঘর টা ।
মনোরম ভাবে গুছিয়ে রেখেছি ,বাগান থেকে বিভিন্ন রকমের ফুল এনে ।
মনে হবে স্বর্গ লোকের সরোরুহ মনসিজ শোভমান হয়ে আছে,
কার্নিশ জুড়ে ।
দখিনা জানালা দিয়ে কৌমুদী র ঝলমলে আলো এসে পড়ে,  
ফালি ফালি প্রভঞ্জন এসে, উড়িয়ে দিয়ে যায় ,
তোমার আঁচল খানি ।
তোমার সেই পছন্দের ড্রেসিং টেবিল টা, শিউলি মালতি মাধবী দিয়ে,
ভরিয়ে দিয়েছি নিরুপম ভাবে ।
চৌকাঠে পা রাখলে ই বুঝতে পারবে,কত কষ্টের ছলে ড্রয়িং করছি ,
কত রাত্রি জেগে ।
বুক সেলফে রেখে দিয়েছি, তোমার যত সব পছন্দের বই আছে,
প্রথমে রেখে দিয়েছি হুমায়ূন আহমেদের শ্রাবণ মেঘের দিন;
তারপরে শেষের কবিতা ।
অতি ফিন ফিনে স্বচ্ছ আকাশী রঙের কারুকার্যে ভরা;
পর্দা ঝুলিয়েছি দরজার সিক্ত পাই পে ।
শাহাবাগের ফুল মার্কেট থেকে কিনে এনেছি,রক্তিম লাল গোলাপ,
তোমার মাথায় দিব বলে ।
মালা গেঁথেছি বকুল তলায় বসে,তমসতাড়িনীর গোধূলি লগ্ন থেকে,
সূর্য ডুবা র আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ।
সারা দিনমান তোমার জন্যে খড়কুটো র উপর বসে প্রহর গুনেছি,
অধীর আগ্রহী হয়ে ।
কখন এসে কড়া নাড়বে হৃদয়ের মানচিত্রে, কোমল সুরে ডাকবে,
আমায় বুকে টেনে ।
তুমি কি ? ভুলে গেছো !আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকীর দিন;
তোমার কিছুই মনে নেই !
তদানীন্তন সময়ের কথা ;যখন আমাদের প্রথম বাসর হয়েছিল,
তোমাদের সেই ছোট্ট কুঠিরে ।
আজ সেই দিন, সেই পুরোনো নড়বড়ে ঘর,বুঝতে ও পারবে না;
আগের কুঠির কি-না ।
মনের মাধুরী দিয়ে সাতটি রঙে সাজিয়ে রেখেছি , তুমি আসবে বলে,
আপন করে নিবে ,
তাই ; সেজে গুজে দাঁড়িয়ে আছি, উঠোনে র পাশে তুলসির ছায়ার মূলে,
তোমারি অপেক্ষায় ।