পুলকের বসত ঘরে জীবনভেলা ভাসিয়ে দিয়েছি
বিষণ্ণ আশ্বিনের শীতল বৃষ্টির সবুজ রঙের পল্লবে
মধুস্রোতে সমুদ্দুরের টানে
ঝিনুকের মোহে ঈর্ষাতুর হয়ে
মসৃণ হৃদয়ে অচুম্বিত অবয়বে ছুটে চলেছি একাকী
তাচ্ছিল্ল্যভরে নির্ঘুম অন্তরালে গ্রীবার মলিন অনলে
অসহ্যের সিঁড়ি বেয়ে
অনুচ্চার প্রেতায়িত অভ্যন্তরে
বিপুল আঁধারে সগৌরবে বীণার জলরেখার তানে
বিপন্ন ঝড়ক্লান্ত নিশ্চুপ দৃষ্টির অগোচরে অজান্তে
এঁটোকাঁটাজীবীর ন্যায় ভগ্নস্তূপে
কলঙ্কিত ভাঙ্গাচোরা মোড়ে
জীবন্ত উদ্দিষ্ট আলুলায়িত অঙ্গবাসে ক্রোধে ধিক্কারে
নির্লজ্জের অস্তিত্বে বঞ্চিত আস্ফালন পরেছে কৃষ্ণপক্ষে
কালবেলায় কুটিল শুয়োরে
নাগর বাঁধে ডাগরে
প্রেমের লেলিহানে মালা সম্ভ্রম স্বর্ণাভ ললনার আঁচলে
গেঁথেছে সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বেলে পুষ্পবৃষ্টির মূলে অকারণে
উদাসীন সুকোমল মনে
বিস্মিত স্পর্শ ছোঁয়ে
মধ্যাহ্নের শূন্যতাকে ধু – ধু স্বপ্নের ক্রমাগত ডাকঘরে
অসমাপ্ত জীবনী ডেকে যায় অবিরত নড়বড়ে মৃত্তিকার
বেঘোরে মাংসপেশিতে এলেবেলে
প্রস্থানের উন্মাদের ছলে
ডানাছাঁটা আগাগোড়া নীলকাশের নীচে নিরন্তর ভাবনার
ঘুড়ি উড়িয়েছি ক্ষত লুব্ধ আকর্ষণের কদাকর ছায়ারূপে।