কালের ডিঙায় চড়ে মহাপথের উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছি অবিরত
আকণ্ঠ জোয়ারে বিষাক্ত কামনার বাজারে বীভৎস গোরস্থানে
অলীক বাঁশির তানে
মরুচারী নহরের বিস্ময়ে
রাগরাগিণী শিহরণ জাগায় ঝরাপাতা অচিন সপ্তপদী উদ্যানে
প্রৌঢ়ের মরমী নীরব কালো কোলাহল ভূমির মর্চে- পড়া ছিন্ন
বেহালার ভিন্ন মন্দিরে
পৌরাণিক স্বপ্নের নিরুদ্দেশে
বহুকাল ভিড়াক্রান্ত আবীরে দৌড়ে গেছি থরথর শঙ্কিল কারাগারে
জ্বলজ্বলে স্তূপের অদূর ঘাটে মৌনতার স্বেচ্ছা তাণ্ডবে লকলকে ক্রূরে
বিলম্বিত প্রণয়ে জলঝড়ে
কাঁপানো আচরণের আবেগে
নির্বিঘ্নে যন্ত্রপাখি চুম্বনের ঝরাপাতা ছিঁড়ে নিশীথের মেঘমালার লীনে
বনবাদাড়ের নগ্ন চৌকিতে বাসর সাজায় অবয়বহীন কাফনের অস্তিত্বে
মখমল খেয়ালের আড়ালে
নিবিড় দীর্ঘশ্বাসের শিরাপুঞ্জে
নিরুদ্ধ প্রস্রবণে প্রবোধের অলিতে –গলিতে বুনিয়াদের অগ্রসর প্রণয়ে
অসমাপ্ত ঘুট্‌ঘুটে কুহেলিকার আঁধারে প্রসন্নতার গভীর অনুরাগে তুচ্ছতার
ভ্রূকুটির বেসামালের গানে
আকুলের প্রাণে দাগ কাটে
নীরন্ধ্র বাঁশঝাড়ের মূলে চাঁপা কান্নার সুরে হৃৎপিণ্ডের ভূখণ্ডে নিঃসীম নিবাসে
তপ্তজনপথে ঘুঙুর ভাঙার সিম্ফনির আওয়াজ ভেসে মোর হিয়ার কর্ণগহ্বরে
স্তূপ রক্ত ঝরে ঝোপঝাড়ে
প্রবাল প্রবল কটাক্ষ চিতাগ্নিতে
ধুমায়িত পরপারে ভীষণ ক্রোধের ঘণ্টা বাজে বিশাল বটবৃক্ষের পাতার তালে
তালে নিঝুম পাড়াগাঁয়ে সেজেগুজে জীবনপঞ্জি দেখে ছুটে আসে বিস্তীর্ণ মাটির নির্বীজ অতলে।