তোমার স্মৃতি গুলি আমায় কুঁকড়ে কুঁকড়ে কাঁদায় মনের চৌকাঠে
যেদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করি সেদিকে দেখতে পাই তোমার বিজড়িত কারুকার্য ,
পলকে পলকে ভাবি রাস্তা দিয়ে পথ চলি
তোমার দেখানো বাণীতে
এগিয়ে যাই ভাষণের সুরে ।
তোমার সেই রেসকোর্স ময়দানের উচ্চ কণ্ঠের ধ্বনি আজো আমি শুনতে পাই
ঘুমের ঘরে জাগিয়ে দেয় গভীর রাতের অন্ধকারে ভেসে আসে
সমুদ্দুরের তল দেশ থেকে সেই জ্বালাময়ী উত্তাল
ছন্দের ঝংকার বেজে যায় আমার
কানের গহিনে ।
ব্যথায় হৃদয় কাঠ হয়ে গেছে চৈত্রের রোদে ছাই হয়েছে তোমার বিরহে
কাকে বুঝবো দুঃখের কথা উদাসীন ভাবে ছুটে বেড়ায়
সন্ন্যাসীর বেসে এখানে সেখানে খুঁজি ভর দুপুরে
ধানমন্ডির লেকের পাড়ের জলের মাঝে
স্রোতের মধ্য খানে ।
তোমার সেই কষ্টের দিন গুলি আমায় ব্যাপক ভাবে তিলে তিলে  পোড়ায়
কত ই না বুকের মধ্যে ব্যথা নিয়ে লিখে গেছো
কারাগারে রোজনামচা চোখের
কোণে জল আসে সেই সব
কথা মনে পড়লে ।
জর্জরিত হয়ে যায় যখন শুনি তুমি পৃথিবীতে নেই বড্ড আঘাত লাগে
চিত্তের ভিতরে পাগলের মতো বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকি চৌরাস্তার মোড়ে
হাউমাউ করে কান্না করি গড়া গড়ি খাই বালির মধ্যে
শুয়ে থাকি ময়লার স্তূপে তীব্র প্রখর রোদ্দুরে
জীর্ণশীর্ণ নিবিড় ধ্যানে ।
তোমায় হারিয়ে কাঁদি আমি গোপনে গোপনে বত্রিশ নম্বরের মোড়ে
তোমায় হারিয়ে খুঁজি আমি টঙ্গিপাড়ার প্রতিটি রাস্তার
ধারে ধারে খুঁজি তোমার অসমাপ্ত জীবনী গ্রন্থে
খুঁজি সাহিত্যের প্রতিটি পাতায় পাতায়
খুঁজি লাল সবুজের পতাকায় ।
আমার চোখের কোণে এখনো জল জল করে ভেসে উঠে তোমার স্মৃতি গুলি
সুবাস ছড়ানো দিন গুলি উষ্ণ ভালোবাসায় ভরপুর ছিল
হাতের মুঠোয় খেলেছো কত ই না সুখের খেলা
গড়ে তুলেছো এক সবুজ শ্যামল শস্য ভরা
সোনার বাংলা ।  


(অনেক আগের লেখা কবিতা)