বিষাদের বেড়া জালে বিষণ্ণতার জল স্রোতে,ডুবে যাচ্ছি
হুড়মুড় করে ভেঙে যাচ্ছে মনের দীঘির পাড়,অলীক মোহে
মনোরাজ্যে ঘুণে ধরেছে মর্মভেদী টানে ,বিচ্ছুরিত নির্জনতার ছলে
নিস্তব্ধতায় চুরমার হয়ে যাচ্ছে সমস্ত সিঁড়ি গুলি,অসীম বেদনায়
উদ্ভাসিত দেহের অণু পরমাণু গুলো উদাস মনে হাঁটছে ,সুদূর আকাশের নীড়ে
শিহরিত ধূসর মেঘ আজ আনমনা হয়ে ছুটে চলে ,দীর্ঘশ্বাসের শ্যামল প্রান্তরে
যৌবনের নীল অরণ্যে র খেয়া ঘাটে,অবেলায় স্রোতস্বিনী হাঁকে গভীর ভাবে
জল তেষ্টায় গুটিয়ে নিচ্ছে শিশির ভেজা ঘাস গুলি,
ঘৃণায় আক্রোশে মনের আকাশ গ্রন্থি থেকে
ফ্যাকাশে রৌদ্রের ক্ষিপ্ত তাপে ক্ষীণ চঞ্চল চোখে,
বেদনার রঙ ফুটে গভীর অনলে ।
গোধূলির নরম আভা নিঃশব্দ তার মাঝে ঊষসী র হয়ে,
বিলীন হয়ে যাচ্ছে অনুরাগের তানে
অপূরিত সাধ মিশে যাচ্ছে দুঃস্বপ্নের দেয়াল টপকিয়ে,
মুদিত আঁখি র ভূসিথ দ্যুতি তে ।
চিতাগ্নির দহনে নিপুণা নিথর ফুলদানি হোলি খেলে ,
বিস্রস্ত স্মৃতির মৌমাছির ন্যায়
ঔদাসীন্য নীলের আঁকিবুঁকি ক্যানভাসে,
শরতের জল রঙ এসে খেলা করে,নিবিষ্ট মলিন চোখের আড়ালে ।
ভেসে – ডুবে ছুটন্ত ফুটন্ত মৌন তায় জাল ফেলে,
শূন্য দৃষ্টির অগোচরে ঘন নিঝুম তার পাতালপুরী তে
নিশীথে রাত্তিরে জোনাকি ডাকে অন্তিম কদমের ডালে,
বিচূর্ণী ছাইয়ের ঝড়ের তাণ্ডবে র সীমানায় ।
শ্যাওলা পাতার জলে ক্লেদজ কুসুম ফুটে,
কাব্যকলা র প্রাচুর্যের চির প্রকৃতির অমিল মাত্রা বৃত্তে
কামনার করিডোরে সাদা কালো অন্তর্বাসে অর্ধস্ফুটে উন্মাতাল ঘূর্ণি জলে ,
ডুবি –ডুবি ছুঁই ছুঁই ছেঁড়া পাপড়ির উরু তে ।
ছন্নছাড়া কান্না উড়ে চলে ঝুল বারান্দা র কার্নিশে,
কোন এক কুমারীর দুর্দান্ত বায়স্কোপের স্বপ্নহীন, শব্দহীন, লজ্জাহীন, তীর্থ স্থানে ।
গোলকধাঁধা র সর্বনাশে নিষ্পেষিত হয়ে,
জীবন আমার ফুরিয়ে গেছে ,
পদ্মপাতার ঘোলা জলে অদেখা অপ্সারার মোহ মায়ায় ।