অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তোমার আঙিনায় হামলা দিব, হোমরাচোমরা হয়ে
ভাবতাসি ; কোন পথ ধরে আগানো যায় ।
প্রথমতঃ ; অবরোধের ফন্দি আঁকতে হবে তা-না হলে
হবে না, নির্জনে গভীর রাত্তিরে ওঁৎ পেতে বসে থাকতে হবে ।
তোমার জানালার দক্ষিণ দিকের অশথের পাতার নীচে
অ্যাটম ব্যোম সেট আপ দিতে হবে ।
আক্রমণের সঠিক জায়গা খুঁজে ক্যাপ্টেন কে আদেশ দিতে হবে
যে কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় ।


গোপনে গোপনে বাগানের ধারে গিয়ে কামানের গোলা
বসিয়ে দিতে হবে ,জ্বালিয়ে দিতে হবে চন্দনের ধূপ।
আর কর্নেল কে বলতে হবে ভালো ভাবে গোলন্দাজ বাহিনী  
গুপ্তচর হয়ে উঠোনে শিবির স্থাপনে নিয়োজিত থাকে।
খেয়াল রাখতে হবে যাতে একটা প্রাণী ও নিহত না হয়
খুব নজর রাখতে হবে;  মনোযোগ সহকারে !কেমন ।
খণ্ড যুদ্ধের বাহিরে কোন কিছু ই হবে না ; তবে ছোরা গোলার অংশের
ছিটা গুলি ছত্র ভঙ্গের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় ।


নৌবাহিনী আর বিমান বাহিনী আকাশ পথে ও জল পথে আক্রমণ
না করে ;সেই দিকে খোঁজ খবর নিতে হবে ।
বারুদ বিস্ফোরক কিম্বা বেয়নেট,বর্শা,বল্লম,বর্ম,ইত্যাদি পিস্তল কিছু দিয়ে
আঘাত হানতে পারবে না ।
জয় পরাজয় যাই আসুক আমি পলায়নে বিশ্বাসী নই
রণ তীর থেকে পালিয়ে বৃন্দাবনে যাওয়ার কোন আশা নেই ।
সকল প্রধান সেনাপতিদের ডেকে বলে দেওয়া হলো
আর ইতিমধ্যে লেফটেন্যানট কে হুকুম দেওয়া হয়েছে ।
যে বাড়ি থেকে কেউ বের হওয়া মাত্র ই যেন ছাঁদনাতলে
সন্দেশ বার্তা প্রেরণ করা হয় ।


ইয়েস স্যার ,তা-ই হবে ;
তখনই বাড়ির ভিতর থেকে বের হয়ে একটি লোক সেনা প্রধানের কাছে গেলো
এবং বলল; যে আমরা সন্ধি করতে আগ্রহী ।
পত্রবাহক দূত প্রথমে ব্রিগেডিয়ারের কাছে গেলো
তারপর সে আমার কাছে এসে বলল ;স্যার উনারা আমাদের সাথে চুক্তি করতে রাজি ;
তখন আমি তাকে বললাম ;তাহলে ডাকো কাজী !
ফোটাবো আজ বাজি , আকাশে বাতাসে ধ্বনি বে আজ ভালোবাসার জয় ধ্বনি ।
মেঘের মধ্যে বাসর সাজাবে নক্ষত্র রাজি,উদ্ভাসিত হবে স্বর্গের মেস্ক আম্বরের ঘ্রাণ;
দিক দিকে ছড়িয়ে পড়বে মুহূর্তের মধ্যে মর্ত্যলোকের আবাস ভূমিতে ।