ঊর্ধ্বলোক  থেকে আগমন তোমার
বিশ্বপতির  হুকুম পালনের জন্যে ।
অবতীর্ণ  হয়ে মর্তধামে বিচরণ
করেছো, লাগামহীন ভাবে শিরায় উপশিরায় ।
বিশাল ক্ষমতার বলে অদ্রি পাড়ি দিয়ে
আসছো আমার সোনার বাংলায় ।


আশীবিষের মতো ফণা তুলে বিনাশ
করে দিচ্ছ ,ক্ষণপ্রভার  দাপট দেখিয়ে ।
প্রভঞ্জনের ন্যায় ধেয়ে আসছো অবলীলায়
যাকে যখন পাচ্ছ উড়িয়ে নিচ্ছ ভূধরে ।
পঞ্চত্বপ্রাপ্তিতে পাঠিয়ে দিচ্ছ মুহূর্তের মধ্যে
আহব করে দিন পার করতে হয় নিশ্চুপে ।


জানি তোমার বসবাস গগনের ঊর্ধ্বতনে
ক্ষণিকের জন্যে মর্ত্যলোকে আসা ।
ঝড়ের বেগে ছুটো দহনের মতো
দহন করে আষ্টেপৃষ্ঠে ফেলে দাও অতিমাত্রায় ।
আকিঞ্চন তোমার নির্ঝরিণীর মধ্যে
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে সন্ধ্যা তারার লগ্নে ।


ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে যাচ্ছ মানবের
হৃদপিণ্ডের উষ্ণ কণিকায়, অত্যন্ত নিবিড় ভাবে ।
চুষে চুষে খেয়ে মনের অভিলাষ পূর্ণ করছো,
কলেবরের প্রতিটি মজ্জা ও ইন্দ্রিয় সমূহ ।
চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিচ্ছ মানুষের সুদৃশ্য
শরীরের মিশে থাকা পাতক কে ।


দানবের বেসে ঢুকে পাবক হয়ে পুড়ে
ছাই করে একাকার, বেসামাল বানিয়ে বের হয়ে যাও ।
রূপের বাহার নিয়ে জন্ম তোমার
রূপ ধরা খুব মুশকিল হয়ে পড়ে ।
ইন্দ্রজাল শক্তিতে বলিয়ান হয়ে ছড়িয়ে আছো
আদিনাথের অনুজ্ঞায় সর্বস্তরের মানবের দেহে ।


এবার উর্বী ছেড়ে মালিকের ডাকে সাড়া দিয়ে
অনন্ত লোকে পাড়ি জমাও মুক্ত ডানা মেলে ।
উন্মুলন করো তোমার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাইরাস যুগল
গুটিয়ে নাও সকল কুঁড়ি মুকুল নিমেষের মধ্যে ।
কৃপা করো মোদের অসীম প্রভুর আজ্ঞায়
ফিরে যাও শূন্য হাতে অধীর আগ্রহ নিয়ে ।


জ্ঞানী গুণী তোমায় ডাকে কভিড ১৯ বলে
আমি ডাকি তোমায় করোনা ভাইরাস বলে ।
কত নাম তোমায় দিয়েছি আদর করে
শত ব্যথার মধ্যে ও খেলেছি তোমায় নিয়ে কৌমুদীনির লগ্নে ।