মহামন্ত্রধ্বনি বেজে উঠেছে সমুদ্দুরের ফেনারাশির ঘাটে
অনলনিঃশ্বাসী বিকীর্ণ সন্ধ্যার সুদীর্ঘ মহাশূন্যের তটে
প্রবল ধূলিজালে
শতদলে সুধাজলে
নটলীলা যবনিকা চলে অবিরাম অর্ধস্ফুট অন্তঃশীলার তন্দ্রার
ঘোরে কুহেলিকা বিলয়ের বিন্ধ্যগিরি চিত্তাকাশে ছায়াপথের
মলিন শিশিরবাষ্পে
অন্তহীন ছায়ারেখা আঁকে
স্বর্ণবীণার ঝিল্লিমন্ত্রের নিষ্ককারণের নন্দনবনে তনুস্পর্শে চিরশ্যাম
প্রেমধারা বয়ে যায় হিমরেখা দর্পণ নদীর পাড়ে অনিল চুম্বনে
কম্পিত শঙ্কিতে
অভিষিক্ত অন্তরে
শৃঙ্খল নিষ্ফল চিত্রতলে সুখদুঃখের বীজে বিদায়ের সংকেত
বেজে উঠে অরণ্যের খাঁচার চঞ্চল ইঙ্গিতলীনে অদৃশ্যের মোহে
হৃদয়ভূমির বাহুবেষ্টনে
ঘোমটা ফোঁটা বৃষ্টির মাঝে
মৌনতার আবরণে ক্ষোভের সর্বনাশা বর্ষা নামে কাননভূমির
চরণতলে সর্বাঙ্গের উদাস দুপুরে আভাসভূমির মাঝে সুবাস ছড়িয়ে
নিশীথের ফুলে
পাপড়ি মেলে
পারাপারের টানে অসীম সসীম সুদূরে ভাবাবেগে বাস্পমেঘে বিরহ
প্রেমের বন্দরে ঝড়ে আসে অবেলার তরে দৈববাণীর ফলে অতৃপ্তিভরে
নাভীদল হিমকোল
ফুলদল কলরোল
রাঙাবরণ নিচোলাবরণ জীবনে নষ্টাকর্মা কুড়িয়েছি দুভুজ ভরে শ্যামল মাঠের প্রান্তরে নিঃশব্দে প্রভাতের
আলোড়নে অদৃষ্টের অগ্রসরে হৃদকম্পনের প্রাঙ্গণে শীষ দেয় কালের খেয়া ঘাট থেকে অকারণে বারে বারে।