দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে মানুষের জীবন যাত্রার মান দ্রুত গতিতে
ভেঙে পড়ছে অর্থনীতির অগ্রযাত্রা মন্দা যাচ্ছে
শেয়ার বাজার, আঁতুড়ঘরে পরিণত হচ্ছে
কর্পোরেট হাউজ ধ্বস নামছে,
ছোট খাটো ব্যবসায়ীরা
মূল্য দিতে হচ্ছে
কঠিন ভাবে ।
চোরা চালান বেড়ে যাচ্ছে ব্যাপক ভাবে গুদাম ঘর থেকে হাতিয়ে
নিচ্ছে,প্রচুর পরিমাণে চাল ডাল ,ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে
অসহায় গরীব দুঃখীরা যতটুকু আর্থিক সহযোগিতা
পাওয়ার কথা  প্রকৃত পক্ষে তা সঠিক ভাবে
পাচ্ছে না,দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা
নিম্ন এলাকায় বসবাস করে
নিদারুণ দারিদ্র্য তায়।
কৃষি কাজে নির্ভর যারা তারা আজ অনেক ক্ষতির মধ্যে দিন যাপন
করছে,নিরুপায় হয়ে হাত গুটিয়ে বসে আছে কি করবে ফসল
তুলতে পারতেছেনা,কারণ হচ্ছে লোক বল নেই ভয়ে
বাড়ির উঠোন থেকে বের হচ্ছে না,উর্বর জমি
নষ্ট হয়ে যাচ্ছে,পাকা ধান বৃষ্টিতে ভিজে
জলা ভূমিতে ডুবে যাচ্ছে,কাদা মাটি
থেকে ফসল উঠানো অনেকে কষ্ট ।
খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক ভাবে তন্মধ্যে ক্রিকেট যা
থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি  টাকা আয় হয়ে থাকে,
তা ও এখন অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত আছে ,
সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল,তার সাথে
যদি বলি যেমন টেনিস ,হকি খেলা ,
কাবাডি, কুস্তি,দাবা,ঝাঁপ,
দৌড় প্রতিযোগিতা সব কিছু থমকে গেছে ।
শিক্ষার ক্ষেত্রে ইস্কুল,কলেজ ,মাদ্রাসা,ইউনিভার্সিটি ,ইত্যাদি ভোকেশনাল
সহ সবকিছু লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে,এতে ছাত্র সমাজ ক্ষতির
মধ্যে পড়ে যাচ্ছে ,পড়াশোনা হচ্ছে না ,বাসায় বসে টিভি দেখে
দিন কাটায় , ছেলে মেয়েরা শিক্ষার প্রতি অনীহা হয়ে পড়ছে
ডিজিটাল চালু করলে ও অতো টা সুফল বয়ে আনবে না ,
কারণ অনেকের বাড়িতে ইন্টারনেট নেই
এতে ও ক্ষতি প্রস্থ হচ্ছে ।
ধর্মের ক্ষেত্রে ও  মানুষ মসজিদে যেতে পারতেছেনা,জামায়াতে নামাজ পড়তে
পারতেছে না , অন্য ধর্মের মানুষ মন্দির ,গির্জা,প্যাগোডায় যেতে
পারে না পূজা অর্চনা করার লক্ষ্যে,অনেক বিপদের মধ্যে
দিয়ে জাতি আজ দিন পার করতেছে একটাই কারণ
অম্বর থেকে আগত মহামারী করোনা ভাইরাস
যার ফলে পৃথিবীতে নেমে আসছে
ধ্বংসের যজ্ঞ লীলা ।
গবেষক গণ যাকে নামকরণ করেছে কভিড ১৯ এটি এমন এক মরণ ব্যাধি ভাইরাস
যা ছোঁয়াচে রোগ বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে ,যা কিনা অতি মাত্রায়
সংক্রমণ ছড়ায় মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্ত কণিকায়
নিয়ে যায় আঁধারের বদ্ধ ঘরে,জর্জরিত হয়ে
কান্নায় ভারী হয় মানবের মোনাজাত,
তীব্র ব্যথায় কুঁকড়ে কুঁকড়ে
বুক ফাটায় ।  
শোকে মুহ্যমান হয়ে আছে সাড়া দুনিয়ার মানুষ, চারিদিকে হাহাকার খাদ্যের অভাব
নিশ্চুপ হয়ে ঘরে বসে থাকে একাকী ভাবে ,কাতর হয়ে কাঁদে নীরবে নিভৃতে
যন্ত্রণার মাশুল দিতে হচ্ছে অধিক পরিমাণে কোন অভিরুচি
নেই,শুধু একটাই ইচ্ছে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া ,
উপায় নেই ওষুধ আবিষ্কার হয় নেই আজো
অস্থির হয়ে যাচ্ছে এই ভাইরাসের প্রভাবে ,
টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে
গভীর অনলে ।
কভিড ১৯ কে যদি থামাতে চাও ,তাহলে তার প্রভুর নিকট প্রার্থনায় মগ্ন থাকতে হবে
আকুতি মিনতি এমন ভাবে করতে হবে যাতে করে আকাশের ধার উন্মুক্ত
হয়ে যায়, আর কান্নায় ভারী হবে মেঘমালা ঝর্ণা দ্বারা ,চাইতে হবে
গড়াগড়ি খেতে হবে মাটিতে, প্রয়োজনে চিল্লায়া ক্রন্দন
করতে হবে, তারপর যদি সৃষ্টিকর্তা আমাদের মাফ
করে দেন , আর ঘাতক ব্যাধি ভাইরাস
উঠে যায় অন্তরীক্ষে ।