বুকের ভিতরের ঠিক হৃদপিণ্ডের মধ্যে,একটি নদী থাকা ভালো
ভালো থেকে ভালো ।যাতে  বৃষ্টির জল গড়িয়ে যেতে পারে,
অবলীলাক্রমে সমুদ্দুর থেকে সমুদ্দুরে ।
অত্যন্ত নিবিড় ভাবে বয়ে যাবে গভীর স্রোতের টানে, ফিসফিস
শব্দের কলকল ধ্বনির সাথে।ডাক দিলে শুনতে ও পারে,
আবার না ও শুনতে পারে খুনসুটি র ছলে।
অবিরত আকাশে গর্জন উঠে শুধু জোয়ার ভাটার ফলে,ছায়াপথ
গুলি মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ছুটে চলে দূর দূরান্তে ।নব যৌবনে
নীল পদ্ম  উদ্ভাসিত হয়ে মিশে যাচ্ছে বীণাপাণি থেকে শূলপাণি তে ।


ফিলহাল অপয়া সজল অঝোর ধারায় ফাগুনের হাওয়ার সাথে,তাল মিলিয়ে
জীবন স্রোতের জীবন তরী তে ওঠে ।শোকানলে দেহপিঞ্জর পাড়ি দেয়,
ক্ষুধানলে আকাশ গাঙে, তৃপ্তির স্ফটিক জলে ।
অরুণ রাঙার প্রভাতে জেগে উঠে কাজল কালো সুন্দর লতা,শ্বেত বস্ত্র
রক্ত কমলের ন্যায় ।অকালপক্ব অদৃষ্টপূর্ব জলমগ্ন থেকে অষ্টধাতু র
ছলনায় ঢেঁকি ছাঁটার জ্ঞানশূন্য বজ্রসমে ।
বুকের পাঁজরে ঠিক সিক্ত শুষ্ক গুপ্ত গাম্ভীর্য পূর্ণ সরিৎ থাকা ভালো,
যাতে কৌমুদী র টানে হর্ষোচ্ছ্বাস জলোচ্ছ্বাস উচ্ছ্বাসের প্রতিধ্বনি
পড়তে পারে দূর থেকে দূরদূরান্তে,গভীর জল থেকে গভীর জলে ।