ও ভোরের হাওয়া ছুটছ কেন এতো তাড়াহুড়া করে
কি তোমার ব্যস্ততা ধীরস্থির গতিতে যেতে পারো না
যাচ্ছ ঠিক আছে কিন্তু বাগানের মধ্যে কি করো
ও আচ্ছা এই বুঝি তোমার তাড়া
সব কটি ফুল তুলে ছিঁড়ে আস্তিনের ভিতরে ঢোকাচ্ছ
লাল নীল হলুদ সাদা গন্ধময় হরেক রকমের পাপড়ি তুলে নিচ্ছ ইচ্ছে মতো
শুনি এতো ফুল দিয়ে কি করবে
মনে হচ্ছে তোমার কথা বলার সময় নাই


তবুও আমি জানতে চাই
কিসের এতো পেরেশান কোথায় যাবে স্নিগ্ধ শিশির ভেজা উষ্ণ ঘ্রাণের ঝুলি নিয়ে
আমাকে তোমার বলতেই হবে
তা - না হলে আমি ছাড়ছি না!
মায়ের কাছ থেকে শুনেছি যে তুমি প্রতিদিন এই সময় আসো
পুষ্পের কচি পাপড়ি নিতে
থামো তুমি আর একটি ফুল ও ধরবে না
আগে আমার কথার উত্তর দাও
তা - না আমি একটি ফুল ও ধরতে দিব না


আমায় প্রতিউত্তরে বলে –
আমাকে ডিস্টার্ব করো না হে বৎস! আমার কাজ আমাকে করতে দাও
আজীব ব্যাপার তো!
যখন তার ফুল তুলা শেষ তখন সে বলে-
তাহলে শুনো মনোযোগ দিয়ে
আমি যাচ্ছি আমার প্রাণপ্রিয় কাউসারের মালিক যিনি
উম্মতের কাণ্ডারি যিনি তার বাড়ি
এই বলে সে ছুট লাগায় অধীর আগ্রহ নিয়ে পশ্চিমের টানে
আর আমি চেয়ে আছি ভারাক্রান্ত মনে কবে যাবো জগত প্রদীপ সঃ এর নীড়ে।