ফেরী ঘাটে স্রেফ বসে আছি অস্থির অজ্ঞাতে সফেদ রঙের আলখাল্লা
অঙ্গে জড়িয়ে অদূর গাঁয়ে যাবো বলে লহমার চিরন্তন স্তম্ভিত উপকূল ঘেঁষে
ডিঙিয়ে নদীরতীরে
অভিশপ্ত নগরী পেরিয়ে
দিগন্তের স্মিত ধোঁয়ার অন্তরালে দীপ্র ধূসর জলে ঘুণেধরা ভেলায় চড়ে
ক্ষণকালের স্বপ্নিল দ্বি-চক্রযানে উড়ে যাবো সিঁড়ি বেয়ে মাতাল শহরে
তুষারিত প্রলাপের অনুরাগে
অলৌকিক উপত্যকার লিরিকে
কালের তিন টুকরা পালক লাগিয়ে কায়ার উপরি ভাগে ঠেলা গাড়ি এয়ারক্রাফটে
শুয়ে ঘুমন্তপুরির দেশে পাড়ি জমাবো সাধের জীবন ফেলে ছিঁড়ে যাদুর মোহে
নিঃশ্বাসের চৌচির দ্রোহে
বিমূঢ় মন্ত্রতন্ত্রের জালে
অবান্তর বিমর্ষ ছায়াচ্ছন্ন লগ্নে ক্ষুব্ধ নিসর্গ অশ্রুপাত গুলি ঝরে পরে চিবুকের নীড়ে
পোষমানা স্বপ্নচারী ক্ষয়িষ্ণু উৎপাতের ফলে ঝাঁঝালো রৌদ্রঝলসিত কাঠফাটা তানপুরাতে
তৃষ্ণার্ত অন্ধের বাঁশি বাজে
আক্ষেপের অরণ্যের ঘাটে
খায়েসের জমিনে খেলাচ্ছলে শোভাময় যৌবনে যুবতীর উঠোনে ঘুড়ি উড়িয়েছি
ঋতুর বঞ্চনা প্রতারণার নেশার নীল চোখে খোঁপায় দিয়েছি দূর্বা ফুলের মালা
গোপনে একাকী সঙ্গোপনে
নীলিমার পাতালে গুপ্তচরে
সাংকেতিক কম্পমান অন্ধকারে গৌণ শিল্পীর সুর আসে চিলেকোঠার মহল্লার
অলিগলি থেকে কে যেনো শুনিয়ে গেলো বড়ুই পাতা গরম জলে গোসল দিবে তোমায়
নিঃসাড় অসাড়ে নিস্তব্ধে
প্রস্তরখণ্ডের বেগানা ভিটেতে
বন্ধনমালার অস্তরাগে ছিন্নভিন্ন আলো জ্বলে সমৃদ্ধ মৃত্তিকার কুঠিরে ঘৃণার আরাধনায়
সাড়ে তিন ভুজ বাক্সটি নিয়ে যাবে অনন্তপুরীর খেয়াঘাটের শিহরিত মন্থর প্রান্তরে।