চিত্তগগনে কাঠ রঙের এক পশলা মেঘ জমে আছে
বিষাদের অনলে ছন্দজালে আটকে পরে বঞ্চিত দেয়ালে
চঞ্চল অমৃতের অবসাদে
বিচিত্ররূপে তরঙ্গিত প্রাণে
নিষ্কলঙ্ক তমোঘনে অচিন্ত্য অঙ্কতলে অবসানের নিগূঢ়
প্রদোষের রঙ্গভূমির ভূমিতলে সংকল্পের রহস্য প্রেমের
মালা গেঁথে বসে থাকি
উজান ভাটির স্রোতের মাঝে
জীবন্ত ছায়ার দিকে যখন তাকাই চিতানলে পোড়ে অঙ্গার
হয়ে গেছে বিরহী প্লাবনে বিষম বেদনার যাতনায় মর্মাহত
খেপল বজ্রপাণির ডঙ্কায়
হেথাহোথায় জমেছে পলিমাটির চর
অন্তরবাসী প্রান্তরে স্পর্ধিত ডালে অসীমের সদ্যফোঁটা জল
গড়িয়ে পরে চিবুকের কোমল চামড়া দিয়ে অপূর্ণের রসাতলে
বিলাসী নদীর টানে
কূলহীন দরিয়ার তীরে
মনোদুঃখ হাসে ভাসে সমুদ্দুরের লাল নীল সোনালী রঙের নীরে
নিতান্ত জোয়ারের ক্লেশে অতল সাগরে গভীর নিশিকালে সাধের
ডিঙা চলে যায় উদাস পুরে
মিষ্টতম বিমল তানে
প্রণয়ের স্বর্গে আশীষ মন্তরের সুর লহরী আওয়াজ শোনা যায় নরকের
ঘাট থেকে তৃষ্ণার ছলে ছলনার বাসরঘরের মিলনের সুপ্তি প্রদীপ জ্বলে
নিভৃতপুলকে ইন্দ্রাণীর মূর্ছনা উঠে
সোহাগিনী কক্ষে বক্ষে কালসন্ধ্যে
জনহীন প্রবেশদ্বারে কার্ত্তিকের খোলা মাঠে আধো- আধো বৃষ্টির দিনে
ডাকবে মালিক আপন সুরে কাছে নিতে আমায় বুকের হৃদে নিঃশব্দ শিশিরভেজায়।