সেই কবে থেকে হৃদপিণ্ডের গহীন মূলে দানা বেঁধেছে থোকা- থোকা ভাবে  
আমি নিজে ও জানি না তবে এতটুকু জানি বেঁধেছে
সেই আদি লগ্ন থেকে তখন ও আমি জন্মই হয়নি বসুধায়
একটু - আধটু করে অনুরাগের ছলে  
গভীর ভাবনার অস্তরাগের ফলে
জমেছে মায়ার আকাশ অঞ্জলি ভরে মানব কুঞ্জবনে সুরভি ছড়িয়ে


স্তম্ভিত নিঃশ্বাসে বিশ্বাসের বেড়া বেঁধেছে স্মিত বুকের মহাকাশের নীড়ে
মনের অজান্তে মুগ্ধ আঁখির তুলিতে পূর্ণ প্রেম জেগেছে জ্যোতির্ময় স্পর্শে
নিরন্তর অন্তর অযাচিত আত্মহারা হয়ে অর্ঘ দিয়েছি আলোক আভাসের প্রেমারাগে
বসন্তের নগরপ্রান্তে তুষার কোমল রাঙিয়েছি
ধ্যানের মহাপ্রাচির পুষ্পশিখা জ্বালিয়েছি
ত্যাগের মালঞ্চে অনাদিকাল ধরে সাজিয়েছি বিরহী মালা গেঁথে অভিনব সাঁজে


আমরণ সাধনায় মেতে আছি অনাগত- আগতের মহানচক্র পরিগ্রহের কল্পনায়
সভ্যতার নীলিমার অভ্যুদয়ে এঁকেছি স্বপ্নের বাসর ফিনফিনে চাদর দিয়ে
সুদূর প্রসারী বেলুন উড়িয়েছি আশার প্রদীপ জ্বেলে মৌনতার বিলাস প্রাসাদে
প্রত্যাশী হয়ে বিষম ভেজা চোখে
পাপড়ির রক্ত রঙের আঁচল বিছিয়ে
সবুজ গালিচার ট্র্যাফিক কোলাহলে সুরলহরী তুলেছি অধীর আগ্রহ প্রকাশে


প্রেম-ডোরে বেঁধেছি সেই কবে থেকে অরণ্য নীলিমা কুমুদিনী বিহঙ্গিনী
জেগে উঠে নি নীলাভে ভোর বিহনে গাছে বসে ডাকেনি তখনো অভিসারে
অবিশ্রান্ত পৃথিবী ঘুমিয়ে আছে ঘুমের ঘরে বিরহী রজনীর দুঃখের সাগরের মোহনায় পরে
নিস্তব্ধ চারিপাশ নদীদের ও তেমন সাড়াশব্দ নেই
পথে - প্রান্তরে নেই কোন আনাগোনা রক্ত কুসুম ঘুমে- ধুম
পরে আছে প্রতিটি বিকেল শোণিত ধারায় ক্ষুধিত প্রাণে লিখেছি অবেলার ক্ষণে
তোমারি নাম শয়নে স্বপনে গোপনে হে উম্মতের কাণ্ডারি (সঃ) ।