ক্ষণিকের মাতলামি রঙ পেন্সিল জীবনে ফুটফুটে কাঁচের ক্ষিপ্র
বাছা্রিঘর কিনেছি উড়নচণ্ডী হয়ে খেলার ছলে সুকৌশলে
বর্ষাতির শঙ্কিলে
                -স্নিগ্ধশ্যাম কাজলে
বিতৃষ্ণার মস্তিষ্কে হীরাপ্রতিম ভঙ্গিমায় নিশীর্ণ উর্ণাজালে
অভিশাপের দংশনে সংকেতের টানে ভ্রাম্যমাণ নদীরতীরে
গৌরবপ্রদীপ্ত দীপ্তকণ্ঠে - সোনালী বিকেলে
                                                -কটমট প্রহরে
বিমর্দিত জর্জরিত নিঃসাড় প্রলয়ে বেপরোয়া বিলীন শিশিরে
তিলক মণিহারে সুদূরপ্রসারী ছিপছিপে কামনার ছায়াচ্ছন্ন
পুস্পল ভাসিয়েছি মালঞ্চের ভুবনে
                                        -ছেঁড়াখোঁড়া দিগন্তে
বর্ণিল রঙধনু ভাসে একূলের প্লাবনে ওকূল মোহের তানে বিরহী
স্রোতের নেশার জলে কালচে ভুলের নিদারুণ মায়াবী সাঁকো
বেয়ে - কামড়ে ঝাঁপিয়ে
অতল ঝড়ে-
পাড়ি দিবো ভ্রান্তিবিলাসে সীমাহীন মহিমাবঞ্চিত লুণ্ঠিত সংকীর্ণ
রঞ্জিত রত্নপুরীর উন্মবন্দরে-
নিরর্থক নিশ্চুপ শিলীভূত সন্ধ্যাবন্দি গনগনে প্রবাহে
                                                   -লিবিডো মাঠে
যৌবনবতী বধুর চিকুরের রেশমি চেলী উড়ে পৌরুষের কম্পমান
আঁধার ডুবা গাঙে গোল্লাছুটের মতো বজ্রপাতে আলিঙ্গনে
                      -চুম্বনের প্রভাবে তুলাদণ্ডে -উতল কিমাকরে
                     কাদাজল সুড়ঙ্গে সাঁতার কাটে বিশুদ্ধ কায়ায়
বিড়বিড় স্বপ্নের মাঝে -উড়াল মারে...
দৃকপাতহীন ভাবে
করুণ সর্বনাশার ডাকে খাপছাড়া অচিননগরে যেতে।