দূরের তার গুলি কেনো জানি আজকাল আমার সাথে, ছলনায় লিপ্ত
গত এক বছর আগে আমার সাথে খেলা করতো,
হাসত ভাসতো কালের বিবর্তনে,
সে ও আমার সাথে প্রতারণার আশ্রয় খুঁজে,
চাঁদের বুকে মাথা রেখে,
কি অদ্ভুত !তাই না ।
একদিন তারা ভরা রাত্তিরে তুমি আমি মিলে,
খড়কুটো র মধ্যে শুয়ে আকাশের তারা গুনতাম,
গল্প করতাম তারাদের প্রেম সম্পর্কের কথা,
তারা কি কখনো প্রেমে পরে?
তখন তুমি বলতে , দেখতে চাও,তাদের প্রণয়িনী র লীলাখেলা ?
তাহলে চলো আমার সাথে কদম্ব বৃক্ষের মূলে ।
ঠিক এই জায়গাতে বসে পরো,আচ্ছা আসন ঘেরে দুজন মিলে বসে পড়ি,
আসো আরও একটু কাছে এসে বস না!
তোমায় আমি ধরতে পারছি না,
ওই দেখো ফুলের কচি ডগায় কি সুন্দর কুঁড়ি মুকুল উদ্ভাসিত হয়েছে,
মনে হচ্ছে যুগল প্রেমের জলাভূমি ।
আচ্ছা,আমরা এখন তারাদের মিলন মেলা দেখবো,
নীলাভ অম্বরের দিকে তাকাও ,
যখনই আমি তাকালাম দুচোখ দিয়ে গভীর মনে,
দেখতে পাচ্ছি তারা তারানির সাথে চুটিয়ে ভালোবাসার গল্প সল্পে,
মাতোয়ারা হয়ে আছে কুহক কে ফাঁকি দিয়ে,
আর চারিদিক দিয়ে মেঘ মালা ঢেকে রেখেছে,
তাদের ষোলো কলার প্রেম পিরিতি দেখে ।
তখন আমি একটু আধটু করে,
আমার প্রেয়সীর উষ্ণ ভুজে পরশ পাথরের ন্যায় কিঞ্চিৎ পরিমাণে,
আলতো ছোঁয়া দেই ,হঠাৎ অন্ধকার হয়ে গেলো অনায়াসে,
চাঁদ মামা হারিয়ে গেলো লাজুক তার ছলে ,
বিষণ ভাবে মুখ লুকিয়ে ফেললো তাঁর কৃষ্ণ বরণ ছোট্ট কুঠিরে,
আর আমরা দুজনে হারিয়ে গেলাম হারিয়ে যাওয়ার বনে।
হঠাৎ আজ সন্ধ্যায় যখন আমি,
জানালার ধারে বসে আকাশের দিকে তাকালাম;
তখন দেখতে পেলাম,
ওই দূরের তারা গুলির আনাগোনা নেই ,
একদম নিষ্প্রাণ নিস্তব্ধ বিমূর্ত হয়ে লুকিয়ে আছে মেঘবতীর আঁচলের কার্নিশ ঘেঁষে,
কিছুই বুঝতে পারলাম না ।
ঠিক আধা ঘণ্টা পর আমার ওর কথা মনে পড়লো;
কিন্তু ও তো এখন অনেক দূরে,
আমায় ছেড়ে চলে গেছে বহু দিন আগে,
সেই জন্য হয়তো তারা গুলি আমার সাথে
ছলনার আশ্রয় নিয়ে মুখ লুকিয়ে রাখে,
ভাবী আপন মনে আজ যদি ও আমার কাছে থাকতো;
তাহলে, তারা গুলির ধোঁকায় আমায় পড়তে হতো না,
যাই হউক নিয়তির খেলা বুঝা বড় দায়,
কিছু ক্ষণ পর আমি কষ্টের পাহাড় নিয়ে বিছানায় গেলাম গভীর অনলে।