রক্তনদী পেরিয়ে যাবো ঘুমন্তপুরীর তলদেশে
ছেঁড়া ফাঁড়া দেহ পিঞ্জর নিয়ে-
শব্দহীন আঁধারে মরীচিকা রঙের আঁচলে
অসীমকালের অনন্ত সবুজ মৃত্তিকার ঘরে
অবক্ষয় নগরীর পর্দা ছিঁড়ে জোয়ার ভাটার টানে
ওপারে ফেলিব অধীন অঢেল সর্পদন্তে
শতচ্ছিদ্র বন্দর শহর ভেঙে চুরে গভীর সমুদ্দুরে ভাসিয়ে
পাড়ি দিবো অবেলার ক্ষণে-
নীলিমাবিহীন স্তব্ধতার মরুভূমির পথ মাড়িয়ে
অবসাধের নীলে আস্ফোট মলিন ব্যসনে
অবরোধের বিবর্ণ কৃকলাস প্রাসাদের ফাটলের মধ্য দিয়ে
চলে যাবো নেউলধূসর তুষার তরঙ্গে
অনির্দিষ্ট সিঁড়ি বেয়ে-
অচল শিল্পের তুলির ক্যানভাসে
সিঁদুরের লাল আলপনা এঁকে দিয়ে গহীন পর্বতে যাবো
ভোরের বিস্তীর্ণতার স্ফটিক উন্মোচিত রোদ্দুরের আভাষ
গায়ে মেখে এক লাফে উঠে
যাবো নীলিমার ঘোলাজলে
বেরিলমণির অনল চঞ্চল স্ফুলিঙ্গের
নাগকামিনীর ঘুমন্ত কামনার গিরিপথের পাদদেশ দিয়ে
একা হেঁটে যাবো শ্যাম বালির শহরে
নিশিমরুর মায়াবী ঊষার বাতাস লোহিত শোণিমা
বিহ্বল বিমথিয়া ফেলে-
উলঙ্গ উন্মাদের উল্লাসে
আন্তঃপুরিকার তিমিরে জলাভূমির তেপান্তরের কান্তারে
মিলে মিশে বিলীন হয়ে যাবো একাকী নীরবে নিবিড়ে।