জীবনালেখ্য আঁকি জীবনস্মৃতি র জীবনান্তে বসে,
নিদ্রা ভেঙ্গে নির্বীর্য সঞ্চারিত সঙ্কুচিত প্রাণে
শোকাচ্ছন্ন স্পন্দনে স্তব্ধ গোধূলি লগ্নে,
পৌষালী স্তম্ভিত স্বপ্নের অরণ্যবাস রে।
শূন্য নির্জন মাঠের প্রান্তরে ঘোলা দীঘির জলে,
তীব্র রৌদ্রের প্রহরে বিমর্ষ শ্যামল নদীর বাঁকে
সম্ভাবিত উর্বর আকাশের আস্ফালনে,
চৌকাঠে র সীমান্তের বিস্তীর্ণ বিস্ফোরণের বুভুক্ষায়।
বিক্ষুব্ধ রণাঙ্গনে বিসর্জনের বিষণ্ণ দিগঞ্চলে
মহা স্রোতের তরঙ্গের মাঝে,
দিগন্তের মাঠ পেরিয়ে মহা জীবনের পথ ধরে,
বিবর্ণ আর্তনাদে হৈমন্তি ঝরে পরা পাতার নীড়ে।
বিধ্বস্ত পৃথিবীর ধ্বংসের পালা বদলের
মৌন মূক নীল পতাকার জয়ধ্বনি র স্পন্দিত রঙিন সুতোয়;
বিকীর্ণ দৈত্যপুরীতে সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বেলে,
এক পশলা রক্ত নদী পাড়ি দিয়ে,
নিঃশ্বেষে রুদ্ধশ্বাসে র মনি মন্ত্রে মহাপ্রয়াণের চিত্র এঁকে
যাবো অবলীলাক্রমে ।
অশ্রুজলে মৃত্যুর মিছিলে জরাগ্রস্ত বেলাভূমিতে,
গুঞ্জনে র বিপ্রলব্ধ প্রলাপে লুপ্ত পরিক্রমা র হিমাচ্ছন্ন নিঃসীম আঁধিয়ারে
মূর্ছিত কাঁচের দেয়ালে বহ্নি ময় অন্তিম রূপরেখা গড়ে তুলি,
অস্ফুট মান মন্দিরে।
শোকের উচ্ছ্বাসে সূক্ষ্ম প্রলয়ে,
প্রকম্পিত কালো ছায়ার স্বাদহীনতার জীর্ণ ক্ষীণ উত্তাল সমুদ্দুরে
উদ্দাম দ্বার টানি ব্যাকুল ভাবে।
ঝংকারে শঙ্কারে
বিস্ময়ের সন্তর্পণে,
লাঞ্ছনার বেদনার কারাগারে কল্পনার অন্ধকারে
ইন্দ্রজালের প্ররোচনায় গভীর ইঙ্গিতে  ,
বিরক্ত –বিস্বাদের ক্ষুব্ধ –ছায়ার উড়ন্ত জোয়ারে
কুমেরু কুয়াশার উদ্‌ভ্রান্ত অসাড় বিক্ষত চোরাবালি তে।
জীবন্মৃত জীবলোকে জীবনোচ্ছ্বাসের দুর্বিপাকে,
ঘোড়সোয়ারের স্বপ্নহীন অরণ্যময় আপন হৃদি র ছবি আঁকিবুঁকি
নির্ভীক নিবিড় ব্যগ্র শোকে,
মহা প্রলয়ের মহা পরিসমাপ্তি র ভগ্ন নীড়ে।
তীক্ষ্ণ গর্জনে বজ্রের রুদ্ধ শিকলে র
লাঞ্ছিত স্বর্গের উচ্ছল পঞ্চনদের মিলন রেখার তীর ভূমিতে ।