মন মাঝি শুকনো পাতার ছলে পদ্ম পাতার জলে ভেসে যাবে,
দেহ ছিঁড়া খাতা ছিঁড়ে আকাশ গাঙে।
ফেনিল তৃষ্ণার জল ফেলে সীমাহীন প্রস্রবণ অন্তরালে রেখে ,
হৃৎস্পন্দনের মৌনতা ভেঙে উড়াল দিবে
অন্তরীক্ষ ছাড়িয়ে নির্জন স্বর্গ ভূমিতে।
বৈচিত্র্য ময় স্বপ্নপ্রসূ বজ্রমুষ্টি বর্ণিল মাঠের দৃশ্যাবলী;
ইন্দ্রজালের হাতছানির বিষ্ঠা ছুঁড়ে,
হাস্যরোলের তাম্রলিপি ডিঙিয়ে নিংড়িয়ে
ওপারে পাড়ি দিব শূন্য ভুজে।
নিশ্বাসের বাইসাইকেলের সুর বাজিয়ে,
দীর্ঘশ্বাসের রঙ মাখিয়ে খড়কুটো র পরাগ মেখে,
দিনলিপি র কর্মসূচি আহ্লাদের সরাইখানা অধ্যুষিত চৌরাস্তা বলি দিয়ে
যাবো চলে স্বর্গোদ্যানে।
আষাঢ়ী চন্দ্রিমা র অন্তরঙ্গ চুম্বন কালেভদ্রে স গৌরবের প্রসন্ন দ্যুতিময়য় স্মৃতি ছেড়ে ,
একাকী ধ্যানে কায়ক্লেশে শ্রাবণ ঘন দিনে ফাঁকি দিয়ে
যাবো অন্তিম অম্বরে জীর্ণ দহনে।
পুণ্যস্নান সেরে পড়ন্ত বিকেল বেলা হাঁটি হাঁটি নিগূঢ় নিশীথে
জন স্রোতের কোলাহল ফেলে,
রহস্যের সবুজ খয়েরি টিকিট কেটে,
নিঃশব্দ তার উন্মত্ততা ;
উপড়ে ,
তলিয়ে ,
যাচ্ছি ...
প্রকট সুবিশাল আদিগন্তে,
ক্রোধের ঝাঁটা কাঁটা বুকের পাঁজরে নিয়ে।
বসন্ত কালের বাগানে,
প্রস্ফুটিত কামিনী রক্তচক্ষু চাতক পাখির ডাক ;
নক্ষত্রের রহস্য পুরী মৃত্যু বর্ষী সিঁড়ির ধাপ বেয়ে ,
ভূমিহীন ঝোপঝাড় সন্ধ্যার অলকা পুরী রূপান্তরিত রৌদ্রাক্রান্ত মাড়িয়ে
হেমন্তের নির্বাসিত অঙ্কুরে নষ্টা ভ্রষ্টা অন্ধকারে,
আজরাইলের হাতে গিয়ে পরবো অবলীলাক্রমে।
যথারীতি মধুর রাগিণী র টানে,
কামার্ত আবেগ কম্পিত সজীব জাগ্রত অন্তলীনে অঞ্জলি ভরে নিশ্চুপ মনে।