ছেঁড়াখোঁড়া অনুভবের স্মৃতি গুলি ফাঁকি দিয়েছে,
দীর্ণ ক্রোধের খেয়ালী পনার ছলে।
কিয়দ্দূরে নিষ্ফল ভাবনার আকাশে ভাসছে,
ধূলোবালি উড়ছে ,
ধমনীর নীল অবিন্যস্ত তৃষিতে।
রোদ্দুরে জমেছে সাদা কালো দুঃখের স্বপ্নিল;
নিরুদ্দেশে ভেসে গেছে ,
নিঃসঙ্গতার ধূসর কচি পাপড়ি যুগল।
অদৃশ্যের বেড়াজালে আটকে গেছে,
গোলক ধাঁধার বহুরূপী মধুর জ্যোৎস্নার প্রভা;
অস্তাচলে,
নিম্ন জলে,
দোলাচলে  
মিশে গেছে ,
ব্যাকুল ভাবে ,
আলিঙ্গনের বাসরের মধু চন্দ্রিমা।
বিষাদের গোধূলি তে বিষণ্ণ ত্রিশূলে নিঃশ্বাসের অগোচরে,
আঁধি ঝড়ের চিরন্তন কিমাকরে ডুব দিয়েছে
শ্যামের বাঁশির সুরে মৌনতার কপাট।
জয়োল্লাসে পৈশাচী আঁধিয়ারে চিত্রকল্পের শ্মশান ঘাটে
নিশ্চুপে র স্যুইচবোর্ডে গড়াগড়ি খাচ্ছে,
বৃক্ষ তলে উজান ভাটির ঘাটে,
ঘুণে ধরা অভিলাষের হীরক ঘুড়ির সজীব জমিন।
অভিশপ্ত তীর ভূমির উপকূলে,
আক্ষেপের প্রান্তর থেকে প্রশান্ত রে কুহকিনী র তপ্ত মর্ম স্থলে
খোঁয়াড়ে মূঢ়তা র নিঃসাড়ে,
হারিয়ে গেছে অকাল জীবন তরী।
প্রাণহীন ক্ষিপ্র নিষাদে অনন্তের মায়া লোকে
নিরুদ্বেগ তুষার পাতে,
দীর্ঘশ্বাসের শূন্য প্রহরে ঝাঁপ টি মেরে ঝাঁপিয়ে,
আপন চিত্তে র খেয়ালে
মিশে গেছে কামনা-বাসনার প্রসূন গুলি।
নিরেট শিকল কেটে,
মাখন রঙের সোনালী পুলক পেখম
উনুনের ধোঁয়ায় প্রলাপ মেখে অঙ্গে জড়িয়ে,
পেঁচিয়ে,
কামড়ে ,
লাফিয়ে ...
চলে গেছে সুদূর নীলিমার উঠোন জলে।
মরণ প্রতিমা র দেয়ালে,
কঙ্কালে র রক্ত ধারার আঁধারে
ভূগর্ভের সীমান্তে,
অনুরাগের অনুপমের শ্যামল বাগান লীন হয়েছে গভীর অনলে ।