জাঁকজমক ভাবে আলেখ্য দাঁড়িয়ে আছে নিষ্পাপ সূক্ষ্ম নির্মাণে  
নিরন্তর নিরবধি,নীহারিকার ন্যায় নির্ভুল নিরঙ্কুশ নিদারুণ
নিখুঁত নির্ভীক নিবিড় চিত্তে ।
ধ্রুপদী ধ্রুবতারা হয়ে ফুটে আছো আপন সান্নিধ্যে ধ্যানধারণা নিয়ে
ধূমকেতুর মতো ছড়িয়ে আছো ধর্মাবলম্বী মানুষ দের হৃদয়ের
আকাশে, বেঁধে আছো অনুপমের ছোঁয়ায় ।
দিশারী হয়ে আলোক রশ্মি বিলিয়ে দিচ্ছ অবিরত দিগ্‌ভ্রান্ত ধনুষ্টঙ্কার
ধড়িবাজ দুষ্কৃতকারী লোকদের দ্ব্যর্থবোধক ভাবে কাছে টেনে নিচ্ছ ;
তার সাথে  সাথে দারিদ্র্য পীড়িত দুর্বিষহ লোক দের কে ও ।
অম্বরের মালিক তোমায় দিয়েছে দীপ্ত মান নিঘূঢ় নীলিমা,পৌনঃপুনিক
ভাবে প্রজ্বলন প্রতীয়মান ; ফলপ্রসূ প্রস্ফুটিত ফয়সালার ফৌজদারি
আদালত,যাতে মানব সম্প্রদায় বিদ্যমান থাকবে আরাধনায় ।
তোমার বক্ষ্যমাণে আছে বৈজয়ন্তী মানব বিজয় কেতন;মজলিসে অবস্থিত
ময়ূরকণ্ঠী মীমাংসা কারীর আসন , নমনীয় নিবৃত্ত হয়ে দণ্ডায়মান হবেন
নায়েবি আমির ইমামে খতিব উম্মাহ ।
পশ্চিম পাশে ঘুমিয়ে আছে অনেক মৃত ব্যক্তি মিম্বার ঘেসে,উত্তর পার্শ্বে
আছে অযুর ঝর্ণা ধারা সামনে আছে কিঞ্চিৎ বারান্দা তার মধ্যে বুক টান
করে দাঁড়িয়ে আছে অর্জুন মহিরুহ ।
খতিব সাহেবের জন্য আছে একটি ছোট্ট সুন্দর কুঁড়ে ঘর ,তিনি এখানে চর্চায়
মগ্ন থাকেন গভীর রাত অব্ধি পর্যন্ত; ইসলামিক মাসলা মাসায়ালা নিয়ে ধ্যানের
জগতে ডুবে থাকেন রাত্রি নিশি তে ।
মনে হবে অপূর্বের এক লীলা ভূমির প্রাঙ্গণ ;প্রতিনিয়ত নামাজি লোকদের আনাগোনা
কেউ বসে কোরআন তেলাওয়াতে মগ্ন,আবার কেউ কেউ তসবিহ নিয়ে খোদার
নাম জপনে ব্যস্ত ,অনেকে সেজদায় আছেন বিষণ্ণ মনে ।
সৃষ্টিকর্তার এক নিদর্শন নিরূপণ নির্মীয়মাণ বিশুদ্ধতায় ভরপুর সৌন্দর্যের কারুকার্যের
আলপনায় আঁকা প্রদীপ্ত নৈস্বর্গ,মনে হবে দূর থেকে অম্বরের সাতটি সুরলোক
পালঙ্ক বিছিয়ে আছে অধীর আগ্রহে ।
পাপি তাপী সবাই এখানে এসে প্রার্থনায় নিজেকে শপে দেয়; উজাড় মনে উৎসর্গে
লিপ্ত থাকে বিরহী বিভীষিকা বিসর্জন দেওয়ার লক্ষ্যে, সমাগম হয় বুদ্বুদ
বেদনার অসিত ভুলভ্রান্তি জলাঞ্জলি  দেওয়ার জন্যে ।
তোমার শূন্য লোকে অংশু দিয়ে ভরিয়ে দিচ্ছে দৈবের টানে, আঙিনায় ফুটিয়ে দিচ্ছে প্রভু
দু পাণি ভরে, জ্যোৎস্নার আলোয়ে ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে চারিদিকে ব্যাপক ভাবে ।
মনে হবে ,মনোহর অরবিন্দের বৈচিত্র্যের সৌরভ ।
আহা !কত শর্বরী কাটিয়েছি আমি তোমার দিগন্তের পাঁজরে,বিচরণে মগ্ন থেকেছি বহু কাল
ধরে তোমার উদার জমিনে ; সুখে দুঃখে ক্রন্দনে জর্জরিত হয়ে পরে ছিলাম  
আঁধিয়ার গভীর বিভাবরী তে ।
অনেকটা বছর ঘুমিয়েছি খেলার ছলে,ইবাদতে কাটিয়েছি মুঠোয় মুঠোয় কুড়িয়েছি কনক ;
শুনেছি অমিয় বাণী ষটপদের কণ্ঠে অক্ষির নীরে,ভিজিয়েছি অশ্রু দিয়ে চিবুকের
পাদদেশ; বর্ষার ফোয়ারার ন্যায়।
আমার উঠোন জুড়ে তোমার বসবাস অকটবিকট মনের তৃষ্ণার জল ; সামগ্রিক জীবনে
তুমি আমার আলোর পথের দিক প্রদর্শন কারী ,তোমারি বুকে যেন হয় আমার
ইহ লীলা সংবরণ,মিশে থাকতে পারি আজীবন ।
তুমি তো আমার কাণ্ডারি শেষ অহ্নের ;অস্তমিত জীবনের সাথী ।।  



(এখানে অনন্ত পুর দক্ষিণ পাড়া মসজিদের কথা বলা হয়েছে )