সেই পুরোনো ভিটায় গভীর অনল জ্বেলে, বসে আছি একা
কত দিন হয়েছে ,চন্দনের ধূপ পুড়াই না ------------
আসো একটু; বাহিরে গিয়ে পুকুর পাড়ে বসি।
কবে;
তোমার সাথে বসে ছিলাম মনে নেই, আসো না –একটু,
ঝির ঝির হাওয়ায় বয়ে যাচ্ছে ,তোমার শাড়ির আঁচলের
কার্নিশ দিয়ে।
চুল গুলো উড়ে উথলা উথলা ভাবে,
আসো না;
ফাল্গুনী দিনে ফিঙে নাচে মনের আনন্দে,
ফড়িং ফণা ফণী মনসা ফাঁপা ভাবে ফেরারি হয়ে ,
বীণা পাণি র সাথে বুদ্বুদ হৃদয়ে মেহগনি বৃক্ষের ডালপালায় ঘুরে ঘুরে
মৌনতার চিত্র আঁকে ।
চলো না ;-
রোদ্দুর দ্রুত বেগে চলে যাচ্ছে পশ্চিমের তীরে,
রাগিণী অনুরাগী ,
রাঙা রাঁধুনি রঙিন রমণী রসগ্রাহী,
বধূয়া;
রাজর্ষি রানি ।
অনেক দিন হয়ে গেলো তুমি আমার সাথে রুপালি রুদ্রমূর্তি
দেখ না!
রূপ রুপী,
লক্ষ্মী;
শ্রাবন্তি শ্রাবস্তী ,
আসো না একটু,উঠোনে র ছোট্ট বাগানের ধারে ফুল কুড়াই
এক সাথে মিলে মিশে গান গাই ,
ডানা মেলে উড়ি ।
অনেক দিন ধরে ই তো;
চন্দনের ধূম গায়ে মাখি না,
নিংড়াই না নাছোড়বান্দা হয়ে ।
আসো;
একটু আধটু নিদারুণ ভাবে,ধূপ জ্বালাই পিঁড়ি র মধ্যে বসে,
পৌনঃপুনিক প্যাঁচ পাঁচালি পিপীলিকা র ন্যায় ।