রাতের নির্ঘুম প্রহরে বসে আছি নির্জনে তৃষিত আবডালে
খুব একা হয়ে ভাবি যখন আমি থাকব না অবিরল পৃথিবীতে
অকূল টলমল উতলা ঘুমের ঘরে স্বপ্নে দেখি ভয়াবহতার ফল
চমকে উঠে কাতরাতে থাকি
বিষম বেদনার তীরে শূন্য সম্বল নিয়ে
মণিকার চরাচরে মিলবে কবে আমার দু চোখের তারার স্বর্গরাজি
ভাগ্যের দুয়ারে ঘুরি ফিরি আবেগের শিয়রে
নিশিদিন চন্দনের গীতে
জানি একদিন রজনী কেটে যাবে জীবন ফুঁড়িয়ে যাবে অকাতরে
ঘুম ভেঙে রাত্রির প্রহর কেটে আলোর রেখা উঠবে
উঠোন জলে
হয়তো সময় চলবে ওর গতিতে
বিরহ মনে নীলিমার উচ্ছ্বাসে
কিন্তু প্রতিটা মুহূর্ত অধীর ভরা কষ্টের তরী বেয়ে যাই আমি
অভিনব সুরে
বুকের মাঝে সব সময় একটা হাহাকার করে বেজে উঠে
কোথায় গেলে পাবো আলোর দিশারীকে
কেউ কি জানে  
বারে বারে হৃদয় কেঁদে বলে কী করিব আমি অবশেষে
কোন পথে যাবো
কোন শহরের নরকের নিষ্পেষিত হলাহলে
কার কাছে যাবো কোন দরবেশের তরে
কেউ কি বলতে পারে যাবো আমি কার নীড়ে
পূবাল হাওয়া বলে দাও মোরে পশ্চিমের তীরে
কি ভাবে যাবো আমি
ঐ মদিনা ওয়ালার সঃ শিয়রের আনিঙ্গনের স্রোতে ভাসতে ।