আমি অধম বসে আছি ভবকুলের মাঠের বটের মূলে
বুকের ভিতর জমানো ক্ষত নিয়ে উড়নচণ্ডীর ব্যাসে
পাশে দিয়ে বয়ে গেছে তিতাস নদী ঊষসীর লুকোচুরির ঢঙে- রঙে
স্রোতেরা খেলা করে
বেখেয়ালি আনমনা হয়ে গভীর তটে
ভেসে যায় শ্যাওলা কচুরিপানার সাথে মৌনতার জালে
জোয়ার ভাটার ফলে
আকর্ষণের মন্ত্রে আটকে গেছে নীলাভ আকাশের মেঘমালা যুগল
বিজলি মেয়ে
মন কে চেপে কাঁদে অপূরিত সাধ না পেয়ে  
দিন দুপুরে রামধনুর সাথে
পাখিরা গান গেয়ে যায় তালে তালে সুরের ঝংকার তুলে
আনন্দ জয়ের উৎসব মেখে
হাওয়ার সনে মন উড়ে হিজল বনের নীড়ে
গোত্তা খেয়ে যায় যে চলে
সবুজ গম্বুজের দিকে প্রেমের বানে
সুরভিত ঘ্রাণের টানে
অরুণের উদয় ডেকে বলে ওরে পথিক পাগল
এখনো কি জাগে নি তোমার গহিনে যার প্রেম বিনে পাড় হবে না
কবর হাশর পুলসিরাত অসীম কালে
সময় থাকতে কর তাহার গুণগান আঁধার ঘরে একমাত্র বাতি তোমার
আরাবু আল আজম কায়েনাতের সরদার সঃ
যার পরশে হবে ধন্য সারা জাহান কূল
বসে আছি মহাকালের সিঁড়ির গোঁড়ায় উদাসীন দেহতরি নিয়ে
নিশীথের লগ্নে প্রেমলিপি নিয়ে পাঁজরের মনিকুঠিরে
অনুরাগের দিগন্ত পুষ্পের সুগন্ধির ডালা বিছিয়ে উষ্ণ চাদরে
জীবনের স্পন্দনে
বক্ষের পঞ্জরে
পাই যদি একবার বিলিয়ে দিব আছে যত যাতনার কোমল ভালোবাসা
তাই আমি অভাগা বসে আছি ভবের হাটে কবে পাবো তাহারে একা সংগোপনে ।