উকুন খাবে বলে তোমায় মাথায় রাখিনি
রেখেছি হাতের অঙ্গুষ্ঠের কার্নিশে।
উইপোকা ধরবে তাই বাঁশের কঞ্চিতে রাখিনি  
রেখেছি হাতের তর্জনীর রক্তের শিরা উপশিরায়।
ইঁদুরের উপদ্রবের যন্ত্রণার ফলে তোমায় নরম মৃত্তিকায় রাখিনি
রেখেছি হাতের মধ্যমার কণিকায় ।


ছারপোকা,তেলাপোকা কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে তাই কাঠে রাখিনি
রেখেছি হাতের অনামিকার সুড়সুড়ি তে ।
জোনাকি পোকা,ঝিঁ ঝিঁ পোকা তোমার শরীরে বসবে বলে আঙিনায় রাখিনি
রেখেছি হাতের কনিষ্ঠার কোমল স্পর্শে ।
পিঁপড়া খেয়ে বিনাশ করবে তাই মাটিতে রাখিনি
রেখে দিয়েছি হাতের করতলে র ঠিক মধ্যে খানে ।


প্রজাপতি তোমার চিকুরের ঘ্রাণ নিবে তাই বাগানের কুঁড়ি মুকুলে রাখিনি
রেখেছি শুধু মণি বন্ধের পশমের গোড়ায় ।
মাছি,মশা বসবে বলে শীতল পাটিতে রাখিনি
রেখেছি হাতের প্রকোষ্ঠের মণিকোঠায় ।
মৌমাছি গুন গুন করে তোমার আঁচলে বসবে বলে জানালার ধারে রাখিনি
রেখেছি হাতের পাণি র মধ্যে বর্তী সূক্ষ্ম জায়গায় ।


মাকড়সা বাসা বাঁধবে বলে ড্রেসিং টেবিল,আলনায় রাখিনি
রেখেছি অতল স্পর্শী স্থানে ।
টিকটিকি ঘুরাঘুরি করবে বলে দেয়ালের সাথে লুকিয়ে রাখিনি  
রেখেছি মনের উঠোনে ।
কুনোব্যাঙ বিরক্ত করবে তাই পানিতে রাখিনি
রেখেছি তোমায় হৃদয়ের চৌকাঠে ।


গুটিপোকা তছনছ করবে আঘাতে আঘাতে তাই তোমায় কোথাও রাখিনি
রেখে দিয়েছি পরম যত্নে কবির প্রতিটি স্লোকে ।
সাপ ,ভীমরুল কাম্‌ড়াবে তাই বেহুলার বাসর ঘরে রাখিনি
রেখেছি তোমায় কল্পনার জগতে।
আরশোলা,সরীসৃপের আক্রমণের ভয়ে বিছানায় রাখিনি
রেখে দিয়েছি আমার অন্তঃকরণের প্রাণ কেন্দ্রে ।


কেঁচো,জোঁক তোমায় ছুঁয়ে দেখবে বলে মর্ত্যলোকে ও শূন্য লোকে রাখিনি
রেখেছি তোমায় ,আমার স্বপ্ন রাজ্যের রাজ কুঠিরে ।
পাবে না কেউ তোমায় আমায় ছাড়া, খুঁজা খুঁজি করে ও
থাকবো দুজনে মিলে মিশে একাকার হয়ে অন্য রকম ভাবনার নীলাভ আকাশে ।