ভরা ভাদ্দুরে গভীর রাত্তিরে ঘন অন্ধকারে
বসে আছি,
তিতাসের পাড়ে দেহতরী নিয়ে
আঁজলা আজলি ভরে চোখের অনলে
আকাশের দিকে তাকিয়ে
দেখি তীব্র মেঘ জমে আছে
ভীষণ ভাবে,
শ্মশান ঘাটের মাথার উপরে নিস্তব্ধ মনে
স্পর্শের জালবুনে,
অনন্তপুরের স্নিগ্ধ মাঠের প্রান্তর ঘেঁষে
অবিরল গাছের পাতার নীড়ে
রৌদ্রবিন্দুর ঝাপসায় মাছরাঙা উড়ে চলে
সমুদ্দুরের নীরব জলতরঙ্গ ছুঁয়ে
শ্যামল গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে
জয়পুরের ঘাট পেরিয়ে ...
ছুটে যায় সনির্বন্ধ কাকজ্যোৎস্না নগরীর শতাব্দীর নিসর্গের আঁধিয়ারে
মনের ভগ্ন মন্দিরে,
নাড়া দেয় শেষ বেলার উদাস দুপুরে
ভদ্রার অশান্ত বাতাসের নির্গলিত ক্লেদরক্তের টানে
উল্লোল শ্যামা গানের তালে,
নীল রঙের নীলিমার প্রমত্ত অনিন্দ্যের স্বপ্নের ঘরে
প্রেম নিবেদন করি ঋতুর সঙ্গম স্থলে মুগ্ধতার সমুজ্জ্বলে ।