সুমধুর বৃষ্টির আওয়াজে ঘুম আসে মৌনতার মাঝে
আড়মোড়া ভাবে চলে যাই গভীর তন্দ্রার নীড়ে-
রিম ঝিম করতে করতে মনে হয় যেন স্বর্গের সীমানায়
চলে গেছি-
হঠাৎ ভির ভির করে স্বপ্ন চলে আসে চোখের কোণে
নেমে আসি পাতালপুরীতে -
হাটতে থাকি খুব স্নিগ্ধ ভেজা শিশির ঘাসের উপর দিয়ে
অমনই আমার নজরে পড়ে একটি ছায়াশীতল বট বৃক্ষ
সামনে দিয়ে যাচ্ছি –
আর দেখছি যে ঠিক শিকড়ের মূলে কালো একটি গাভী
তাঁর একটু দূরে একটি কুকুর গাভীটির ডানে ছাগল
আর বামে হচ্ছে কবুতর
তো হঠাৎ গাভীটি মাটিতে লুটিয়ে পড়লো নিমেষেই
সে কাতরাচ্ছে আর পেটটা ফুলে গেলো
কিছুক্ষণ পর তাঁর যোনি পথ দিয়ে জল বের হচ্ছে
মনে হচ্ছে গাভীটি মারা যাবে কিন্তু না!
আর অন্যান্য পশুরা দেখতে ছিল তাঁর কষ্ট গুলি
হুট করে কোথা থেকে যেন একটি লোক আসলো
আর তাঁর কাছে দাঁড়িয়ে কি যেন দেখতে লাগলো
আমি তাকে বললাম-
কি হয়েছে ওর এমন করছে যে
তখন লোকটি গাভীটির যোনি পথে হাত দিল
এবং একটি হাওয়া এসে থাকে ফেল দিল সে পড়ে গেলো
অচেতন হয়ে কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই
গাভীর যোনি থেকে একটি খাঁচা বের হল
খাঁচাটির ভিতরে সাতটি সাদা পাখি ছিল
তাঁরা ধীরে ধীরে খাঁচার ভিতর থেকে বের হতে শুরু করল
সবাই যখন বের হয়ে গেলো -
তখন;
ওরা এক সাথে বলতে লাগলো
হে মানব সম্প্রদায় তোমরা শান্তি সুখে পৃথিবীতে বসবাস করো
তারপর এই কথা গুলি বলে –
সাতটি পাখি সাত দিকে উড়াল দিয়ে চলে যায়
আর কেমন জানি একটি মৃদু - মৃদু ঘ্রাণ ছড়িয়ে গেছে
তখন ও আমি তাকিয়ে আছি সাদা পাখিদের দিকে – অমনই ঘুম ভেঙে যায়।  
( আজ সকাল বেলা যা স্বপ্নে দেখেছি তা -ই তুলে ধরলাম )