চাঁদনীর রাত্তিরে শূন্য ভুজে চলে গেছো কিঞ্চিৎ মনোমালিন্য হওয়ার ফলে
যার কারণে এখনো কষ্টের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরি তরু ছায়ার নীচে
ব্যাপক ভাবে আঘাত অনুভব করি সন্ধ্যার লগ্নে
মগ্ন থাকি তটিনী রেখার মাঝে ।
নীর আসে অক্ষি থেকে বিষম বেদনায় জেগে থাকি ত্রিযামার পূর্ণিমার আলোতে
পাড়ি দিচ্ছি এক মহা সমুদ্দুর তোমায় ছাড়া একা একা নীরবে নিভৃতে
কাটিয়ে দিতে হবে অনেকটা পথ ,এভাবে ই যাবে হয়তো
বাকি জীবন পঞ্চত্বপ্রাপ্তিতে ।

ছোট খাটো বিষয় নিয়ে এতো রাগ করতে হয় তা আমার জানা ছিল না তুমি এই  
বার আমার কাছে আসো ,আমি তোমায় কিছু ই বলবো না  
দেখো আকাশে নীরদ জমে আছে তোমারি প্রতীক্ষায়
ক্রন্দন করছে ব্যাকুল হয়ে ।
বসন্তদূত ডাকে না আগের মতো বিটপীতে বসে গান গাঁয় না মনের সুখে কেমন
যেনো হয়ে গেছে সব কিছু মনে হচ্ছে এলোমেলো হয়ে গেছে
আলসে দিন কাটে তাদের এখন,অনুরাগের ছাপ
দেখা যায় তনুর মধ্যে ।


অতি সহজে শাখীর পাতা ঝরে বাতাস হীন চারিপাশ টা মনে হচ্ছে একটি ভূতের
বাড়ীর যাতে কোন প্রকার সাড়া শব্দ নেই ,আছে শুধু নিস্তব্ধতার ছোঁয়া
বাস করে না কোন মানুষ, মাঝে মাঝে বিবস্বানের আলো এসে পড়ে
পাতার ফাঁকে ফাঁকে ।
অপরাধ আমি করেছি বেশী না তুমি করেছো সেই টার কোন প্রকার হদিস পাই নি
মানলাম আমার অপরাধ বেশী, তাই বলে এতো দূরে যেতে হবে ?
ফিরে আসো না আবার সাজায় মনের মতো করে
ধম ফাটা ভালোবাসা সৃষ্টি করি আগের মতো ।


ইচ্ছের ডানা গুলি ছায়ালোকে পাঠিয়ে শুভ্র আঁচল খানি দখিনা হাওয়ায় উড়িয়ে
চলে আসো আমার মনের নীড়ে , দেখবে অবসান হয়ে গেছে সব কিছু
আঁখির পলকে,তীব্র অনুভব করছো নরম ছোঁয়ায়
দূর হয়ে গেছে অভিমানের জ্বালা ।
অপেক্ষায় আছি তুমি যেই রাস্তা দিয়ে চলে গেছো সেই রাস্তার চৌরাস্তার মোড়ে
জরাজীর্ণ হয়ে বসে আছে একদম পাগলের বেসে, ললাটে লেগে আছে
এখনো তোমার সেই কোমল ঠোঁটের উষ্ণ আদর
হাত বুলানো পরশ মণি ।