ওপারে যাবে খাঁচার জমিন চুপিসারে বিস্ফোরিত নিভৃতে ধুকধুকে
তেপান্তরের পুলসিরাত ডিঙিয়ে বন্দর শহরের ঘাটের প্রদেশে
কাল্ভদ্রের টানে
নীল দংশনে
গোধূলিপ্রতিম রজনীগন্ধাবনে সুড়ঙ্গের করিডোরে টনক নড়বে
বিচ্ছূরিত কালদীর্ণ গর্জনশীল টালমাটাল হারমোনিয়ামের সুরে
লুপ্ত মৃত্তিকায়
সিক্ত ফটকে
মহাযাত্রার মহোৎসব বেজে উঠবে ক্ষণিকের মধ্যে অলীকমোহের
প্রভাবে ঢেকে যাবে অগ্নিঝড় আবরণ দিয়ে বেদনার্ত নিস্তব্ধতার মালা
গেঁথে বাস্পাকূলে
নিষ্ক্রিয় পুষ্পসারে
নীরন্ধ্র প্রান্তরে বিষবৃক্ষের জ্যোতিশ্চক্রে মহাশূন্যের গর্তে নিরুপায় দেহে
তেষ্টার জলে দেয়ালের ঝুলন্ত প্রখরে বিলুপ্ত কোলাহলে জরাগ্রস্ত নীড়ে
ধূলিকণার টানে
আড়ালের বালিচরে
নির্বাসিত ফুটপাতে অতিশয় স্বপ্নাক্ষর ভেসে বেড়ায় অলক্ষ্যের ঝিলিকে
দ্রাক্ষাপুঞ্জের নিঙড়ানো সিলিন্ডারে সিল্কমসৃণ স্মৃতি গুলি সচকিত সানন্দে
ভাবান্তরে উড়ে
খেলারছলে দোলাচলে
ঋতুর তুষারপাতে কুয়াশার প্রলম্বিত ধ্বনির উৎসুক অভিমান মুখর অক্ষরে
পদচ্ছাপের দীপাবলী তুচ্ছতার উর্ণাজালের ধোঁয়াবিস্ট চুম্বনে কফিনের
ভাস্কর্য আঁকে
স্ফুরিত আলোড়নে
কাঁধে তুলে নিয়ে চলবে চারবেহারা শূন্য নদীর দেশে নিঝুম নিষ্প্রদীপ
জ্বালবে ভুজের মুঠোয় মুঠোয় তুমুল বিলাপের কলিং বেলের ব্যথিত আওয়াজে ।