স্বপ্নের মাঠে বন্ধ ঘরে নিবিড় ধ্যানে প্রদীপ জ্বলে
অদৃশ্যের অলীকমোহের টানে
মরণপ্রতিম জেগে উঠে
নিষাদের কাননে মায়ালোকের বাসনার অস্তাচলে অন্তর্ধানে
নিরন্তর ছুটে চলে প্রস্রবণ নদীর তীরে
পাঁচালির অন্তঃপুরে প্রাচীন স্মৃতির চত্বরে
ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসে
নিরিবিলি স্পন্দিত চাঁপারঙের বর্ণিল কৈশোরের শস্যক্ষেতে
এঁকে দিয়ে যায় আশ্বিনের মধ্যরাতে
বিষণ্ণ রক্তিম তৃণভূমির দেয়ালের খোঁয়াড়ে জরাগ্রস্ত সত্তার ছলে
ঝুলে - ঝলক স্পর্শ চোয়ালে গুপ্তচরের কঞ্চিতে
নিগূঢ় নিশীথে যূথীগন্ধী জীর্ণ পিঞ্জরে
সিল্কের হৃদয়ের ঘাটে দীর্ঘশ্বাসের নির্জনতায় বৃষ্টি নামে
উথাল পাতাল ভাবে
সংশয়ের ঘ্রাণে উদ্ভাসিত পুষ্পের তানে বিশীর্ণ বিলাপে মৌনতার তটে
ব্যর্থতার শূন্যতার রঙ অঙ্গে মেখে
তস্করের আঁধিয়ারে কিয়দ্দূরে বটের মূলে
বাজায় বাঁশি শ্মশান ঘাটে শ্যামের সুরে
ডেকে নিয়ে যায় আঁজলা আঁচলি ভরে শোভিত অলিগলির মঠে
চিরচেনা খেয়ালি রত্নদ্বীপের গুপ্তধনে শতচ্ছিন্ন শব্দময় গুঞ্জনে
ঢুলুঢুলু রৌদ্রছায়ার নির্বাপিত তৃষিত যৌবনে
ক্ষণকালের পুস্পদলে ট্রাফিক অঙ্কুরে
ফুটে উঠে জীবন নদীর সৌরভ ভ্রষ্টা ভ্রূণে
ক্রমান্বয়ে চাঞ্চল্য ঢোসকা হাওয়া মাতোয়ারা হয়ে
উদ্ভাসনে ছুটে চলে অধীর গতিতে নিস্তেজ কঙ্কাল দিনান্তে
নিঃশব্দ তন্দ্রার ভিতরে
কোষের প্রতিটি কীটের ওষ্ঠ সাবলীল স্তনপল্লীতে নির্গ্রন্থে
নিরঞ্জন জলকষ্টের অভীষ্ট বেজে উঠে
স্যাঁতসেঁতে ঘৃণ্য কুয়াশার প্রশ্রয়ে
আকর্ষণের জ্ঞাতসারে ছায়ারূপে
শোকের বীণ অনুরাগী হয়ে মনোহীন মর্মমূলে
নিশ্চুপ পেঁচার ন্যায়
অগ্নিবৃষ্টি নামায় আমার বিপর্যস্ত পাকাপোক্ত শহরের খোঁয়াড়ে।