আমায় নিয়ে একদম ভাববে না ঠিক সময় আমি চলে যাবো
সবুজ ঘাস সবুজ মাঠ স্নিগ্ধ জল বসন্তদূতের উষ্ণ চাহনি
ফেলে চলে যাবো ।
আমাকে হয়তো সকলের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে উদার মনে
চলে যেতে হবে ;উদ্ভাসিত বাগানে ফুটে থাকা স্মর কলিকা
কুলের আহ্লাদ ভুলে ।
আমি একদিন তোমাদের কোলাহল ছেড়ে বহু দূরে গাঙুরের
ধারে বাসার সাজাবো নিজের অজান্তে,তোমাদের ইচ্ছের ডানা
গুলি উড়িয়ে আমি খুব নিবিড়ে ভাবে চলে যাবো ।
যেই দিন চলে যাবো সেই দিন ইন্দ্রজাল তোমাদের ভুলিয়ে দিবে
আমার কাছ থেকে অসাড় হয়ে আমি ঈক্ষণ ভরে অম্বু আসবে
চিবুক বেয়ে ,অদৃষ্ট ডেকে নিবে গহীন আঁধারে ।
অতিশয় আমি যাচ্ছি তোমার ঘাটের পাঁজর ডিঙিয়ে জগবন্ধুর
ডাকে সাড়া দিয়ে ,লুটিয়ে পড়বো মৃত্তিকায় গড়াগড়ি খাবো
বিষম বেদনার অসি তের মরু ভূমিতে ।
চলে যাবো একদিন সবাইকে ধোঁকা দিয়ে কষ্টের নদীর তপ্ত
বালি চড় পেরিয়ে ,ঠিক চলে যাবো চন্দ্রিমার রাতে,
বিশুদ্ধ বায়ুর সাথে মিশে ।
ভেবো না আমায় নিয়ে ,কেঁদো না আমায় নিয়ে,আঁখির চলে
বুক ভাসাবে না,আমি হয়তো মধুকরের মিষ্টি গান শুনতে শুনতে
পারি দিব বিশাল অম্বু নিধি ।
ক্ষণিকের খেলা ঘর থেকে আমি একদিন অচিরপ্রভার ন্যায় বসুমতী
কে ভেলকি দিয়ে ,অনন্ত লোকের পাদদেশ ফুটিফাটা করে স্বর্গলোকে
পারি দিব ঘন আঁধিয়ারে।
বিষণ্ণ মনে তাকিয়ে থাকবো অভিপ্রায় নিয়ে,নিষ্প্রাণ নিস্তেজ কায়ায়;
আমার উপসংহার টানবে উষ্ণ গরম জল দিয়ে,তিন টুকরো অরঞ্জিতর
কাপড় দিয়ে,মুড়িয়ে দিবে অত্যন্ত গভীর আবেগে ।
চলে যাবো আমি তোমাদের মধ্যে খান দিয়ে অসীম অম্বর ফেটে
সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে ব্যাকুল মনে চরম আদরে ।