অসীম আকাশের প্রান্তরে দাঁড়িয়ে আছে নিয়তির মহাবৃক্ষ উর্ণাজালে
নিঃশব্দের প্রলয়বাতাস বয়ে যায় প্রতিটি সবুজ পাতার উপর দিয়ে
মায়ার ছলনায়
অলক্তরাগে মেঘে ঢাকে
সজল চিঠি ঝরে পরে উল্কা ভরে অধরসংগমে নিরুদ্দেশ তীর্থযাত্রায়
হেলাফেলার লীলায় সন্ধ্যাদীপে আঁচল দোলে উড়ে চলে মধুপগুঞ্জনে
অশান্ত বিহঙ্গমসংগীতে
স্বপ্নরুদ্ধ আপন দৃষ্টিতে
নির্বিশেষে মল্লিকাগন্ধের ঘ্রাণে অহর্নিশি মৃত্যুছায়া নেমে আসে নির্জনলীনে
ঘনঘটা তেপান্তরের মাঠে অনন্তের কূল ভেঙে সমুদ্রে ফেনারাশি তুলে উত্তাল
ঝড়ের তালে
আনন্দযজ্ঞের ঝংকারগীতি গেয়ে
মানবজমিনের খোলা চরাচরে আঘাত হানে আশীবিষের ন্যায় ব্যাকুল চিত্তে
অনুক্ষণ স্রোতে অন্তঃশীল অবসাদের শূন্যমূলে বিফলতার ঘণ্টাধ্বনি বাজে
শ্রেয়তম মনোমাঝে
জীবনবীণার তারে
পাখি উড়তে চায় ডালে ডালে নবজন্ম ঘাটে ললাটের ধারে খসে পরে ডানা
যুগল তীব্র ভারে রঙহরণকারী থাবার ফলে ভুজের মূলে বিরহের আস্বাদে
দুর্বিষহ আক্রমণে
পুঞ্জিত দেয়াল ছিঁড়ে
অখণ্ডের গুহার ভিতরে ঢুকে পরবে যমদূত মানবের চিরন্তন চিরলগ্ন আঁধারে
চরণকমল দ্বারদেশে উসুখুসু ছোঁয়া দিবে অচিন পাদদেশে করাল অভিসারে
স্তব্ধ রঙ্গমঞ্চে নিবে টেনে
গতিমত্ত শব্দহীন শূন্য ঘরে
নিষেধগণ্ডির প্রান্তসীমার নিমজ্জন স্নানে নিরালায় নিবিড় পরিবেশে মুশারি
টাঙ্গিয়ে সিক্ত পলিথিন কাগজের চকিতে গরম জল ঢালবে সাড়া অঙ্গেতে ইন্দ্রজালের ডাকে।